কচ্ছ (গুজরাত): সেনা, বিএসএফ জওয়ানদের গতিবিধির ব্যাপারে পাকিস্তানে বসে থাকা আইএসআই হ্যান্ডলারদের গোপন খবরাখবর পাচারে জড়িত সন্দেহে দুজন ধরা পড়ল গুজরাতের ভুজে। গতকাল গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে আলানা হামির সামা ও তার সঙ্গী শকুর সুমরাকে গ্রেফতার করে গুজরাতের সন্ত্রাস দমন শাখা। সরকারি গোপনীয়তা রক্ষা আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বেশ কিছুদিন ধরেই তথ্য পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়ে তাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল এটিএস। ৪০ বছরের আলানা ও ৩৮-এর শাকুর ভুজেরই যথাক্রমে কুকমা ও সুমরাপুরের বাসিন্দা।

এটিএসের ডেপুটি সুপার বি এস চাভদা বলেছেন, গতকাল রাতে পাক গুপ্তচর সংস্থাকে আরও খবর পাচারের ব্যাপারে আলোচনা করতে দুজনে ভুজ বাসস্ট্যান্ডে আসে। তখনই ওদের পাকড়াও করা হয়। পরে এটিএস প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত দু বছর ধরে আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা আলানার কাছ থেকে পাকিস্তানে তৈরি একটি মোবাইল ফোন, পাকিস্তানে বানানো তার পরিচয়পত্র, এ দেশে তার নামে তৈরি আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রকাশ, সম্প্রতি সে চারবার ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল। এখানেই এক পাকিস্তানি মেয়ের প্রেমের ফাঁদে তার জড়িয়ে পড়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এটিএস সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে কচ্ছ সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানের থরপারকর জেলায় এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আলানার সঙ্গে আলাপ হয় রাজিয়া নামে মেয়েটির। প্রথম দর্শনে তৈরি হওয়া বন্ধুত্ব ক্রমশ পরিণত হয় প্রেমে। রাজিয়ার টানে সে বারবার পাকিস্তান যায়। সেই সূত্রে সে পাক গুপ্তচর সংস্থার খপ্পরে পড়ে। তাদের নিয়মিত ভারতীয় সেনা, বিএসএফ সম্পর্কে তথ্য পাচার করে সে। সূত্রের দাবি, রাজিয়াকে লাগিয়েছিল আইএসআই-ই। দুজনের প্রেম এতটাই গভীরে চলে যায় যে, চরবৃত্তি করে আইএসআইয়ের কাছ থেকে পাওয়া টাকা আলানা নিজের কাছে না রেখে রাজিয়াকে পাঠায়।

উরির সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় গুজরাত সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। তার  মধ্যেই ধরা পড়ল দুজন।