নয়াদিল্লি: খোদ দলীয় দফতরেই হেনস্থার শিকার হলেন সিপিএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি।


বুধবার, রাজধানীর একে গোপালন ভবনে পলিটব্যুরোর বৈঠকের পর তিন তলায় সাংবাদিক সম্মেলনে যাচ্ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরি। তখনই, সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে দুই হিন্দু সেনার কর্মী। সীতারামের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান ইয়েচুরি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের নাম উপেন্দ্র কুমার ও পবণ কৌল বলে জানা গিয়েছে।


[embed]https://twitter.com/ANI_news/status/872414543514714112[/embed]

কিছুক্ষণ পর টুইটারে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন এই বাম নেতা। বলেন, আমাদের চুপ করাতে সঙ্ঘ গুণ্ডাগিরি চালাচ্ছে। এতে আমরা ভীত নই। পিছিয়েও আসব না। তিনি যোগ করেন, এই লড়াই দেশের আত্মার লড়াই। আমরা জিতবই। হামলার জন্য এদিন মোদী সরকারকেও কটাক্ষ করেন ইয়েচুরি। বলেন, কেন্দ্রের তিন বছর পূর্তি হচ্ছে। এটা তারই উৎসব।


[embed]https://twitter.com/SitaramYechury/status/872409607485784064[/embed]

এর আগে, সীতারাম ইয়েচুরিকে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যসভায় পাঠানোর প্রস্তাব খারিজ করে পলিটব্যুরো। এদিনের বৈঠকে সীতারামকে ফের রাজ্যসভায় পাঠানোর প্রস্তাব দেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সূত্রের খবর, পলিটব্যুরোর অধিকাংশ সদস্যই বিপক্ষে মত দেন। জানা গিয়েছে, সীতারামকে ঘিরে এদিনের বৈঠকে বেঙ্গল ও কেরল লবির মধ্যেও বাকবিতণ্ডা হয়।


প্রসঙ্গত, ইয়েচুরি দুবারের রাজ্যসভা সাংসদ। তাঁর বর্তমান মেয়াদ আগামী অগস্ট মাসে শেষ হবে। সিপিএমের নীতি অনুসারে, দুবারের বেশি কাউকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠানো হয় না।


এই প্রসঙ্গে, ইয়েচুরি নিজেও জানিয়েছিলেন, তিনি দলীয় নীতিকেই মেনে চলতে চান। সীতারাম জানিয়ে দেন, আর রাজ্যসভায় যেতে রাজি নন তিনি। কিন্তু, গত ২ জুন সিপিএমের বঙ্গ-ব্রিগেড তাঁকে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যসভায় পাঠাতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।


উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের ৬ রাজ্যসভা সাংসদের মেয়াদ জুলাই মাসেই শেষ হচ্ছে। রাজ্য বিধানসভায় শক্তি অনুযায়ী, তৃণমূল পাঁচজন প্রার্থীকে পাঠাতে পারে। কংগ্রেস পাঠাতে পারে একজনকে। কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সীতারাম যদি প্রার্থী হন, তাহলে তারা তাঁর জন্য নিজেদের আসন ছেড়ে দিতেও রাজি।