বছর ষাটেকের ওই অটোচালক যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ মাত্র এক টাকা নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সারাদিনে মোট ১০২ জন যাত্রী সওয়ার হয়েছিল তাঁর অটোয়। সেইমতো, তাঁর একদিনের রোজগার ১০২ টাকা।
জয়ললিতার জয়ের খবর শুনে প্রথমে তিনি বাসযাত্রীদের মিষ্টি খাইয়েছিলেন।
মাথিভানন জানিয়েছেন, সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা অবধি টানা অটো চালিয়েছেন তিনি। সকালে, দুপুরে কিছুই খাওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমি আম্মার (জয়ললিতা)-র অন্ধ ভক্ত। তিনি তামিলনাড়ুর মানুষের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাই এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই যে, মানুষ তাঁকেই বেছে নেবে।
এই নিয়ে ষষ্ঠবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। ভীষণই উচ্ছ্বসিত তিনি। তাই এই জয় উদযাপন করার জন্য এই অভিনব উপায়ের কথা ভেবেছেন তিনি।
তিনি বলেন, রাজ্যে আম্মা ক্যান্টিনে ১ টাকায় ইডলি বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন আমাদের নেত্রী। এর একটাই উদ্দেশ্য, যাতে কম টাকায় সকালের খাবার খেতে পারে গরিব-গুর্বো মানুষগুলো। বহু মানুষকে সাহায্য করেছেন তিনি। আমিও চাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
জানা গিয়েছে, ১৯৭৫ সাল থেকে আম্মার পার্টির মেম্বার কাবেরী নগর এলাকার বাসিন্দা মাথিভানন। ৪১ বছর ধরে কোয়েম্বাতুরে অটো চালানোই তাঁর পেশা।