পরে সাংবাদিক বৈঠকে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে একটি ইট ডোনেট করার বাসনাও প্রকাশ করেন সোনু। সোমবার লখনউয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও তাঁর বাসভবনে দেখা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রকাশ করা একটি কয়েন উপহার দেন সোনুকে, দেন কুম্ভমেলার ওপর লেখা একটি বইও। আলোচনার পর আদিত্যনাথকে একজন উদ্যমী, সজীব, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ আখ্যা দেন সোনু। কাশী বিশ্বনাথ দর্শনের পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি। সোনুর রাম জন্মভূমি সফরে সঙ্গী হন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম ও বলিউড পরিচালক সন্দীপ সিংহ।
অযোধ্যা হিন্দুদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র, শ্রদ্ধার স্থান বলার পাশাপাশি তা ‘ভারতের হৃদয়’ বলেও উল্লেখ করেন সোনু। সেখানে নির্মীয়মাণ রামমন্দির প্রসঙ্গে সোনু বলেন, অযোধ্যায় সবচেয়ে সুন্দর দ্রষ্টব্য জিনিস (রামমন্দির) তৈরি হচ্ছে। এটা হবে ভারতের গর্ব। হনুমান গরহি মন্দির দর্শনও করেন তিনি।
সম্প্রতি সোনু সদ্যপ্রয়াত প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানকে শ্রদ্ধা জানান। হরিহরণ, শান, পন্ডিত সতীশ ব্যাসের মতো সঙ্গীতশিল্পীরাও শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্মৃতিচারণ করেন। বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারও নিজের সরকারি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে রামায়ণের কাহিনি বর্ণনার পাশাপাশি ভক্তদের আবেদন করেন, তাঁরা যেন যে যাঁর সাধ্য মতো রামমন্দির নির্মাণে অর্থসাহায্য দেন।
এদিকে তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণ রামমন্দির নির্মাণে ৩০ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ দান করলেন। জনসেনা পার্টির সভাপতি তথা দক্ষিণী অভিনেতা চিরঞ্জীবীর ছোট ভাই পবন বিবৃতি দিয়ে বলেন, ভগবান রামচন্দ্র ধর্ম, সহনশীলতা, আত্মত্যাগ, সাহসের প্রতিমূর্তি, যা সবার কাছে অনুপ্রেরণা। শ্রী রামের তৈরি পথে চলেই ভারত বহু হামলা সয়েছে। তাই অযোধ্যায় সেই মন্দির গড়ে ওঠায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রত্যেকের দায়িত্ব। রামমন্দির নির্মাণে আমার তরফে ৩০ লক্ষ টাকা দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমি দিচ্ছি শুনে আমার নিজের কর্মীরা, যাঁদের মধ্য়ে হিন্দুর পাশপাশি মুসলিম ও খ্রিস্টানরাও আছে, ১১০০০ টাকা চাঁদা তুলেছে একই উদ্দেশ্যে।