লখনউ ও নয়াদিল্লি: ডাকাত দলের হাতে বুলন্দশহরে মা, মেয়ের গণধর্ষণের পিছনে রাজ্যে ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-কে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছেন আজম খান। উত্তরপ্রদেশের এই মন্ত্রী তথা মুলায়ম সিংহ যাদবের দলের নেতা আগেও নানা বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক বাঁধিয়েছেন। আগামী বছরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আজম গতকাল রামপুরে বলেছেন, খতিয়ে দেখা উচিত বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের লোকজন এবং যারা রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চায়, তারা দল ও সরকারের মুখে চুনকালি লাগাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা। সাম্প্রতিক ও অতীতের সাম্প্রদায়িক হিংসার উদাহরণ টেনেছেন তিনি। বলেছেন, রাজনৈতিক স্বার্থে নিরপরাধ মানুষকে খুন করা হয়। ভোটের জন্য গুজরাত, মুজফফরনগর ঘটানো হয়। সামলি, কাইরানার ঘটনা ঘটে। তাই শুধু দুটো ধর্ষণের ব্যাপার নয়, তার পিছনের সত্যিটা জানা জরুরি।


আজমের এহেন চাঞ্চল্যকর বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির বিজেপি নেতারা বলছেন, আজম ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি করছেন। লজ্জার কথা। ভোট পাওয়ার জন্য শাসক দল যে কতটা নীচে নামতে পারে, তারই প্রমাণ আজমের মন্তব্য।

তবে বিপাকে পড়ে আজম সাফাই দিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে ভোটের হাওয়া উঠছে। সেজন্যই তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। গণধর্ষণের ঘটনাটির মতো জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে সাজা হওয়া খুবই জরুরি। ধর্ষণকারীদের চরম শাস্তি দিতে হবে। সরকার যদি এমন ঘটনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংবেদনশীলতা না দেখায়, তবে মানুষের কথা বলার কোনও অধিকার তার নেই। ঘটনাটি খুবই যন্ত্রনাদায়ক। মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ। ওদের যন্ত্রনা উপলব্ধি করতে পারছি। এটা সরকারকে অপমান। কোন সরকার এমন ঘটনা চাইবে?