নয়াদিল্লি:  পঠানকোট হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে এনআইএ-র চার্জশিট দাখিলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, অপর এক সূত্রে জানা গেল নাগরোটা হামলার সব দায় স্বীকার করে নিয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান। সূত্রের খবর, জইশ প্রধান সম্প্রতি নাগরোটা হামলার সঙ্গে তার যুক্ত থাকার অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। আজহার জইশের এক অনলাইন প্রকাশনায় দাবি করেছে, আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিশোধ এভাবেই নিল তারা।

প্রসঙ্গত, জইশের অনলাইন প্রকাশনা এখনও রমরমিয়ে চলছে। সেখানেই মাসুদ আজহার গতমাসে নাগরোটা সেনাঘাঁটিতে হামলার সঙ্গে তার যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নাগরোটা হামলা যখন চলছে, সেই সপ্তাহে জইশের অনলাইন প্রকাশনা প্রকাশ হতে কিছুটা বিলম্ব হয়ে। সেপ্রসঙ্গেই আজহার বলে, নাগরোটা সেনাঘাঁটিতে হামলা এখনও চলছে। তাই হামলার বিস্তারিত তথ্য দিতে তার কিছুটা দেরি হচ্ছে। ওই প্রকাশনায় সাদি নামের ছদ্মনামে লেখে আজহার।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর তিন জঙ্গি নাগরোটা সেনাঘাঁটিতে প্রবেশ করে অতর্কিতে হামলা চালায়। ওই হামলায় সাত নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়। সেখানেই একটি বার্তা ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। লেখা ছিল আফজল গুরুর মৃত্যু প্রতিশোধ নেওয়া হল।

সেই প্রকাশনাতেই আজহার ইঙ্গিত দেয়, ওই সেনাঘাঁটি সম্পর্কে তাদের সমস্ত তথ্য সরবরাহ করেছিল সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারাই। মূলত, বিভিন্ন কাজে যারা নিয়মিত ওই সেনাঘাঁটির ভেতর প্রবেশ করত, যাদের সেনাঘাঁটির ভূগোল সম্পর্কে যথেষ্ট ভাল ধারণা ছিল, তারাই সমস্ত খবর দিয়েছে তাকে। আজহার আরও লেখে, অপরিচিত, নতুন লোককে আশেপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখলেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর সন্দেহ হত। তাই পুরো বিষয়টাই সেখানকার স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে করা হয়েছে।

এমনকি ভারতের নোট বতিলের সিদ্ধান্তকেও কটাক্ষ করে জইশ প্রধান। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর নোট বাতিলের পর দাবি করেন, কেন্দ্রের আচমকা নেওয়া এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছে বিভিন্ন জঙ্গি সংঘঠনগুলো, কারণ টাকার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে আজহারের মত, নোট বাতিল কোনওভাবেই কাশ্মীরি মুজাহিদিনদের থামিয়ে রাখতে পারেনি। শিল্পপতি এবং টাকার লেনদেনকারীরা কেন্দ্রের এই ঘোষণার বহু আগে থেকেই এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল। নোট বাতিলের জেরে মোটেই সমস্যায় পড়েনি কাশ্মীরি মুজাহিদিন, মাওবাদীরা, মত আজহারের।