চণ্ডীগড়:  ধর্ষণে দোষীসাব্যস্ত গুরমিত রাম রহিম সিংহের কারাবাসের সাত দিন পূ্র্ণ হল। একসময় সিরসায় ডেরা সাচা সৌদার সদর দফতরে সাতশো একর জমিতে থাকা স্বঘোষিত গডম্যান এখন কার্যত একটি কুঠুরিতে বন্দী। বিলাসিতা ছিল যাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ অঙ্গ, ১৭০টি গাড়ির মালিক ডেরা প্রতিষ্ঠাতা এখন মালি হিসেবে রোজ প্রতি ৪০ টাকার বিনিময়ে কাজ করবেন। বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত রাম রহিম এই সামান্য টাকায় কীভাবে জেলের ভেতরে তাঁর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের চাহিদা মেটাবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্নের। জানা গিয়েছে, সবসময় পরিশুদ্ধ জল বা মিনারেল ওয়াটার খাওয়া  বাবার পাণীয় জল আপাতত আসছে রোহতক জেলের ক্যান্টিন থেকে।


সূত্রের খবর, ডেরার রাজকীয় গুহায় বিশাল শয্যায় শুয়ে দিনযাপন করা  ডেরা প্রতিষ্ঠাতা, এখন আট বাই আট ফুট সেলে দিন কাটাচ্ছেন। একসময় নারীবেষ্টিত থাকা বাবার এখন কথা বলার সঙ্গী দেওয়াল।

জোড়া ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত গুরমিতের মাথার ওপর দুটো খুনের মামলার খাঁড়া ঝুলছে। সেই মামলার শুনানিও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এদিকে বহু ডেরা ভক্তের নিখোঁজ হওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন এই বাবা। সেই মামলার তদন্তও করছে সিবিআই।

প্রসঙ্গত, হানিপ্রীতকে নিজের কাছে চেয়ে একাধিকবার আদালতে আবেদন করেছেন ধর্ষক বাবা। সেই আর্জি নাকচ করে দেওয়া হলেও, আপাতত দুই কয়েদি যারা জেলে তিন বছরের সাজা খেটেছে, তাদের বাবার সাহায্য করার জন্যে নিয়োগ করা হয়েছে। আরামে অভ্যস্থ বাবার ভাগ্যে এখন জুটেছে শুধু দুটি কম্বল ও একটি তুলোর তৈরি বিছানা।

জেল সূত্রে খবর, কারাবাসের দুদিনের মধ্যেই জেলের খাবার নিয়ে অভিযোগ তোলেন লাভ চার্জার। ইদানিং তিনি খুব কম পরিমাণের খাওয়াদাওয়াও করছেন। কারও সঙ্গে তেমন তাঁকে এই কয়েকদিনে কথা বলতেও শোনা যায়নি। মাঝেমধ্যেই বুকে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন ধর্ষক বাবা। আপাতত, তাঁকে জেলের মধ্যে ফল ও মিনারেল ওয়াটার দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।

জেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন তাঁর সঙ্গে জেলে দেখা করতে আসার তালিকায় রাম রহিম হানিপ্রীতের নাম রেখেছেন। এছাড়া নাম রয়েছে ধর্ষক বাবার মা নাসিব কৌর, মেয়ে চরণপ্রীত এবং আমনপ্রীত, ছেলে জসমীত, ছেলের বউ হুসানপ্রীত, জামাই শানমীত এবং রুহেমীত। এছাড়া তালিকায় নাম রয়েছে ডেরা সাচা সৌদা ট্রাস্ট বিপাসানার চেয়ারপার্সন ও ডেরা প্রতিষ্ঠাতার ঘনিষ্ঠ দান সিংহের।