নয়াদিল্লি:  বাবরি মামলায় লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ার-সহ ২১ জন শীর্ষ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা চালানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২ বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি নেতারা।
এই ২১ জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই আটজন মারা গিয়েছেন। ফলে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর হবে তেরো জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে।
১৯৯২ সালে কেন্দ্রে যখন কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় ছিল, বাবরি কাণ্ডে আলাদা আলাদা ভাবে সে বছর দু’টি আদালতে মামলা হয়। একটি করসেবকদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের লখনউ আদালতে। শীর্ষ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলাটি হয় রায়বরেলির বিশেষ আদালতে। সেই আদালত আডবাণীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খারিজ করে দেয়, যাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কিন্তু হাইকোর্টও রায়বরেলির নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে। ২০১০ সালে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট এই রায় দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা চালানোর আর্জি জানায় তারা।
সিবিআইয়ের সেই আর্জিই মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি পি সি ঘোষ এবং বিচারপতি আর এফ নরিম্যান-এর বেঞ্চ বুধবার নির্দেশ দিয়েছে, রায়বরেলি ও লখনউয়ের মামলাদুটিকে একত্র করে শুনানি হবে লখনউ আদালতে। প্রতিদিন শুনানি চালিয়ে ২ বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই মামলার বিচারককে কোনও ভাবেই বদলি করা যাবে না।
বিচারক সন্তুষ্ট না হলে কোনও পক্ষের মুলতুবির আর্জি গ্রহণ করা হবে না। চার সপ্তাহের মধ্যে শুরু করতে হবে মামলা
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা চালানোর যে নির্দেশ এ দিন সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, তা বিজেপির আডবাণী, উমা ভারতীদের কাছে অস্বস্তির।


বাবরি মসজিদকাণ্ডের সময় বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ সিংহ। তিনি আপাতত রেহাই পাচ্ছেন। কারণ, রাজস্থানের রাজ্যপালের পদে থাকায় তাঁর সাংবিধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে। রাজ্যপালের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চালু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।