মুম্বই:  শিশুটির জন্ম হয়েছিল কঠিন রোগ নিয়েই। এ ধরনের মারাত্মক অসুখ থাকলেও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ থাকে। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার ঘটনাও ঘটে। এমনই ঘটনা ঘটেছে মুম্বইয়ে। অত্যাশ্চর্যভাবে প্রাণরক্ষা পেল তিন মাসের শিশু আরাধ্যা ওয়াঘের।


উত্তর-পশ্চিম মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলায় অত্যন্ত গরিব পরিবারে জন্ম আরাধ্যর। গর্ভে থাকাকালীনই ধরা পড়ে, তার হৃদ্‌পিণ্ডে ফুটো রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এ রকম অবস্থায় অনেক মা-বাবাই সন্তানের জন্ম দিতে পিছপা হন। কিন্তু, আরাধ্যর মা-বাবা সন্তানের জন্মের সিদ্ধান্ত নেন।

আরাধ্যা জন্মেছিল হৃদ্‌পিণ্ডে ফুটো নিয়ে। তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বলতে গেলে ছিলই না। জন্মের পরই তার দেহ নীল হয়ে ওঠে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, এ ধরনের শিশুদের শরীরে রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা কম থাকে। অক্সিজেনের অভাবে ত্বক নীল হয়ে যায়। চিকিত্সার জন্য আরাধ্যাকে মুম্বইতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু এর পরের দিনই প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে একনাগাড়ে বন্ধ থাকে তার হৃদস্পন্দন।এরপর চিকিত্সকরা মেকানিক্যাল সার্কুলেটরি সিস্টেমের সাহায্য হৃদযন্ত্র চালু করার চেষ্টা করেন। শেষপর্যন্ত ফিরে আসে আরাধ্যর হৃদ্‌স্পন্দন।

চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, আরাধ্যার হৃদযন্ত্র এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক।সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে ২৬ ঘন্টা সময় লাগে। এখন আর আরাধ্যার স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।