একলা চলো রে-য় বিশ্বাসী এই মুখ্যমন্ত্রীদের ক্লাবেই এবার নাম লেখালেন নাথপন্থী সাধু যোগী আদিত্যনাথ। দেশের রাজনৈতিকভাবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ এঁদের মধ্যে সবথেকে ছোট, তাঁর বয়স ৪৪। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের বয়স ৫৪, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতের বয়স ৫৬, হরিয়ানার মনোহরলাল খাট্টারের ৬২। তাঁরই সমবয়সি মমতা। সবথেকে বয়স্ক ওড়িশার দীর্ঘদিনের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তিনি ৭০ পেরিয়েছেন।
চিরকুমার আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশেরও প্রথম অবিবাহিত মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবীন পট্টনায়েককে বাদ দিলে বাকি সব অবিবাহিত মুখ্যমন্ত্রীই বিজেপির। কিছুদিন আগে মারা গিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। বিয়ে করেননি তিনিও।
মুখ্যমন্ত্রী নন, এমন রাজনীতিকও অনেক, যাঁরা বিয়ে করেননি। রাহুল গাঁধী রয়েছেন, বয়স ৪৬ পার হলেও কবে বিয়ে করবেন ঠিক নেই। বিএসপি সুপ্রিমো কুমারী মায়াবতী, বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী-এঁরা সকলে অবিবাহিত। বিয়ে না করাটা রাজনীতিকদের কাছে অহঙ্কার, মায়াবতী তো তাঁর প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী সভায় গর্ব করে বলেন, আমি নীচু জাতের প্রতিনিধি, অবিবাহিত, আমি আপনাদের সেবায় সর্বস্ব দিয়েছি। নবীন পট্টনায়েকও বলেন, কংগ্রেসের গাঁধীদের মত তাঁর কোনও পরিবার নেই, তাই তাঁর সরকার কখনও পরিবারতন্ত্র চালু করবে না।
রাহুল অবশ্য কখনও বলেননি, তিনি বিয়ে করবেন না। বরং বলেন, যোগ্য পাত্রী মেলার অপেক্ষা করছেন তিনি।
এছাড়াও রয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। এঁরা বিপত্নীক।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীও অবিবাহিত ছিলেন। জনসভায় বলতেন, যেহেতু তিনি বিয়ে করেননি, তাই কাউকে কিছু পাইয়ে দেওয়ার প্রশ্ন নেই। বিয়ে করেননি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও।
সর্বলোকমান্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামও চিরকুমার ছিলেন।