নয়াদিল্লি: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য পথ আরও বেশি উন্মুক্ত হোক, এমনটাই চায় বাংলাদেশ। ১৯৬৫-র যুদ্ধে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাণিজ্যিক যাতায়াতের পথ এবং সীমান্তবর্তী হাটগুলির পরিসর বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করলেন বাংলাদেশের ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


হাসিনা বলেছেন, সংঘাতের মাধ্যমে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বন্ধুত্বের মাধ্যমেই তা সম্ভব। বিগত বছরগুলিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুগভীর পারস্পরিক আস্থা ও দৃষ্টান্তমূলক বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলেও হাসিনা মন্তব্য করেছেন।

দিল্লিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাসিনা ভারতীয় শিল্পপতিদের বাংলাদেশে লগ্নির আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে পরিকাঠামো, বিদ্যুত্, শক্তি, পরিবহণ, ম্যানুফাকচারিং, খাদ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে লগ্নির আহ্বান জানান। বাংলাদেশের স্থিতিশীল আর্থিক বৃদ্ধি, জনসংখ্যা, স্বল্প ব্যয়ে ব্যবসায়িক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে লগ্নির জন্য ভারতীয় শিল্পপতিদের আর্জি জানিয়েছেন।

এদিন ভারতীয় ও বাংলাদেশি কোম্পানিগুলির মধ্যে নয়শ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরও হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি তাঁর ভাষণে ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন। প্রধান তাঁর রাজ্যে ওড়িশার সঙ্গে বাংলাদেশের ভৌগলিক নৈকট্যের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। মজার ছলে তিনি বলেন, এবার বন্ধুরা হয়ত বাংলাদেশ থেকে আমার জন্য ইলিশ মাছ আনেননি। পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশে ইলিশ মাছ আর ভাত প্রধান খাদ্য।