মাদুরাই:  তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে এক মন্দিরে নিয়মের অজুহাত দেখিয়ে উন্মুক্ত বক্ষে ছোট ছোট মেয়েদের নাচতে বাধ্য করা হয়। তারপর তাদের পুজো করা হয় দেবীরূপে। যেসমস্ত মেয়েদের ওই মন্দিরে আচার-অনুষ্ঠানের অজুহাতে নাচানো হয়, তাদের গায়ে শুধু থাকে গয়না। এই অসম্মান, হেনস্থা থেকে বাঁচতে এবার সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন এক নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে মন্দিরে নাচতে আসবে যে মেয়েরা, তাদের গায়ে পোশাক থাকবে।

সূত্রের খবর, ওই মন্দিরের বাইরে নিয়ম অনুযায়ী সাতজন মেয়েকে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে দাঁড় করানো হয় দেবীরূপে পুজো করার জন্যে। তাদের দেহের উপরাংশে কোনও পোশাক থাকে না। তার জায়গায় গয়না দিয়ে পুরো বক্ষাদেশ ঢাকা থাকে। জানা গিয়েছে, ১৫ দিন ধরে ওই সাতজন মেয়েকে, মন্দিরের একজন পুরুষ পুরোহিতের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই সমস্ত মেয়েদেরই মন্দিরে পাঠানো হয় যারা বয়ঃসন্ধিতে এখনও পৌঁছয়নি।

মাদুরাইয়ের কালেক্টর কে ভীরা রাঘব রাও জানিয়েছেন, ওই মন্দিরে এই প্রথা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। ওই কালেক্টরই মেয়েগুলোকে যেকোনও রকম হেনস্থার হাত থেকে রক্ষা করতেই বক্ষাদেশ ঢাকা দেওয়ার নির্দেশিকা দিয়েছেন। এছাড়া একদল আধিকারিক মন্দিরের বিভিন্ন সদস্য এবং ওই মেয়েগুলোর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, সেখানে কখনও কোনওরকমের যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেনি। মন্দিরের এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৬০টি গ্রাম থেকে লোকেরা এসে অংশ নেয়। বাবা-মায়েরা তাঁদের কন্যা সন্তানদের এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে মন্দিরে পাঠান।