রায়পুর: ছত্তিশগঢ়ের বস্তার জেলার এক আদিবাসী মহিলা তাঁর মৃত ছেলের দেহ দান করলেন জগদলপুর মেডিক্যাল কলেজে। কারণ, তিনি হতদরিদ্র। ছেলের দেহ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অন্তিম সত্কারের কাজ করার মতো আর্থিক সঙ্গতিটুকুও তাঁর নেই। তাই ছেলের দেহ দান করেই ফিরে গেলেন সন্তানহারা আদিবাসী মা।
মৃতর বৌদি বলেছেন, তাঁদের পরিবারের এই শোকের সময় পাশে দাঁড়াতে কেউ এগিয়ে আসেনি। তিনি বলেছেন, আমরা খুব গরিব। মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার মতো টাকাপয়সা আমাদের নেই। হাসপাতালের একজন আমাদের দেহদান করার কথা বলেন।
ওই মেডিক্যাল কলেজের মর্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মঙ্গল সিংহও দাবি করেছেন, ওই পরিবারই খুবই গরিব। সেজন্যই তিনি মৃতদেহ দান করে যাওযার কথা বলেছিলেন।
জানা গেছে, মৃত তরুণের নাম বামান। গত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি গাড়ির ধাক্কায় জখম হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর।