শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিমের (ব্যাট) হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দুজন অনুপ্রবেশকারীকে গুলিতে খতম করেছে তারা।

বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, সোমবার ভোরে নওগাম সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামনের চৌকির ওপর ব্যাট-এর আক্রমণ ভেস্তে দিয়েছে সেনা। নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় ঘন জঙ্গল থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে সীমান্তের এপারে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে পাক অনুপ্রবেশকারীরা। পিছন থেকে মর্টার, রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে কভার ফায়ারিংয়ের মাধ্যমে তাদের মদত দেয় পাক চৌকির জওয়ানরা। যদিও নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন সেনা জওয়ানরা অনুপ্রবেশকারীদের  গতিবিধি আগেভাগে টের পেয়ে যান। পাক চৌকি থেকে শুরু করা হামলার পাল্টা মুখের মতো জবাব দেন তাঁরা, রাতভোর দুপক্ষের গুলিবিনিময় হয়। পরিস্থিতি বুঝতে  আমাদের জওয়ানরা ঘন জঙ্গলে ও প্রতিকূল পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ তল্লাসি করেন, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে, দুজন সম্ভাব্য পাক সেনা জওয়ান নিহত হয়েছে, প্রচুর সমরাস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

তবে পাক গোলাগুলি ও প্রতিকূল আবহাওয়া ও খারাপ দৃশ্যমানতার সুযোগ নিয়ে কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পালাতে পেরেছে বলেও খবর রয়েছে। মুখপাত্রটি বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের পরনে ছিল পাকিস্তানি রেগুলার বাহিনীর পোশাক, ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্রের গায়ে পাকিস্তানি ছাপ থেকেও এই অনুমান মিলে গিয়েছে যে, ওরা পাক সেনার লোকজন। কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী আবার ধোঁকা দেওয়ার কৌশল হিসাবে বিএসএফ ও ভারতীয় বায়ুসেনার পুরানো আমলের পোশাক পরেছিল। অনুপ্রবেশকারীরা আইইডি, বিস্ফোরক, নানা ধরনের অস্ত্র, গোলাবারুদ সঙ্গে নিয়ে এসেছিল বলে জানান তিনি। বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র দেখে মনে হয়, ওদের নতুন বছরের শুরুতে ভারতীয় চৌকিতে ভয়াবহ হামলার ছক ছিল।  আমাদের জওয়ানদের সতর্ক নজর, দৃঢ়তার ফলে তা রুখে দেওয়া গিয়েছে। জওয়ানরা  অনুপ্রবেশকারীদের খতম করেছেন। সেনা কর্তৃপক্ষ ওঁদের সাহসিকতা, সহনশীলতার প্রশংসা করেছেন, বলেছেন, ওঁদের নিয়ন্ত্রণ রেখায় কড়া নজরদারি রেখে পাকিস্তানের এহেন যাবতীয় জঘন্য চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেওয়ার শপথ এমন দৃঢ়, কঠিনই থাকবে।

মুখপাত্রটি বলেন, পাকিস্তান যেহেতু এই অনুপ্রবেশকারীদের কভার ফায়ারের মাধ্যমে যাবতীয় মদত দিয়েছে, আমরা তাই দেহগুলি ফিরিয়ে  নিয়ে যেতে বলব ওদের।