হায়দরাবাদ:  গিজার দীর্ঘক্ষণ চালিয়ে রাখার অপরাধে হায়দরাবাদের এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারার অভিযোগ উঠল। পরে বাড়ির মধ্যে থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার মহিলার দেহ।

রবিবার আহত সুসরুথা তাঁর বাবাকে এক মেসেজ লিখে পাঠান। সেখানে তিনি লেখেন, শুধুমাত্র দীর্ঘক্ষণ গিজার চালিয়ে রাখার অপরাধে তাঁর স্বামী তাঁকে মারাত্মক মেরেছেন। এটাই ছিল সুসরুথার তাঁর বাবাকে পাঠানো শেষ মেসেজ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, তাঁর স্বামী তাঁকে বাথরুম থেকে বের করে এনে, তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই সন্তানের সামনে বেধড়ক মারেন। পরে আহত মহিলা তাঁর বাবাকে ফোন করেও জানান, তাঁকে মারাত্মক মারধর করা হয়েছে। মহিলার বাবা জানান, তাঁরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে পৌঁছছেন।

যতক্ষণে সুসরুথার বাবা-মা নালগোন্ডা থেকে হায়দরাবাদে পৌঁছন ততক্ষণে মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোক জানান, তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সুসরুথার বাবা সত্যনারায়ণের দাবি, জামাই তাঁর মেয়েকে বলেছিলেন, গিজার চালিয়েছ, কে দেবে এর বিল? তারপরই বাথরুম থেকে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মহিলার বাবা-মায়ের অভিযোগ তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে।

পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন সুসরুথার বাবা-মা। আপাতত মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুসরুথার কাকা জানিয়েছেন, তাঁর ভাইজির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে পণের জন্যে হেনস্থা করছিল। এমনকি দুই সন্তান হয়ে যাওয়ার পরও।

পুলিশ সূত্রে খবর, সুসরুথার শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের অনুমান, সুসরুথাকে হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটির স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়েছে।