মুম্বই:  নিখোঁজ হওয়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল ২৪ বছরের প্রিয়ঙ্কা গুরাভের। মুম্বইয়ের ওরলিতে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন তিনি। কিন্তু আচমকাই গত ৫ মে থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন অর্থাত্ গত ৬ মে মহিলার নিজের বাড়ির থেকে ৫০ কিমি দূরত্বে নভি মুম্বই এলাকার এক নালার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় তরুণীর স্কন্ধ বা কাঁধ।

প্রিয়ঙ্কার কাঁধে একটি গণেশ এবং ওঁ চিহ্নের ট্যাটু ছিল। সেটাই তাঁর দেহ সনাক্ত করতে সাহায্য করে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে এক মহিলার দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার হচ্ছিল। গতকাল এক মহিলার মুণ্ডু উদ্ধার হয় পূর্ব ঠানের সাহাপুর-নাসিক রোডের পাশের জঙ্গল থেকে। একটি প্লাস্টিক ব্যাগের মধ্যে ছিল মুণ্ডুটি। তারপর সেটা বিছানার চাদরে মোড়া ছিল।

বি.কমে স্নাতক ওই মহিলাকে কেন খুন করল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোক এখন তার তদন্তেই ব্যস্ত রয়েছে পুলিশ। তবে যে গাড়ি করে ওই মহিলার বিভিন্ন অংশ পাচার করা হয়েছে, সেটার সন্ধানে রয়েছে পুলিশ। কারণ, সেখানে রক্তের দাগ থেকে শুরু করে আরও কিছু জরুরি প্রমাণ থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।

যে ব্যক্তি ওই মহিলার দেহ পাচারে সাহায্য করেছে, সেই পুলিশকে গতকালের ঘটনাস্থলে নিয়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে।

এরপরই পুলিশ ওই মহিলার স্বামী সিদ্ধেশ গুরাভ এবং তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করে, প্রিয়ঙ্কাকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে। এছাড়া এই জঘন্য কাজে সাহায্য করার অপরাধে আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।