নয়াদিল্লি: বিজেপি কর্মী প্রিয়ঙ্কা শর্মার পেশ করা আবেদনের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আদালত অবমাননার নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিডিয়ায় মিম পোস্ট করে অপমান করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। অভিযোগ, ১৪ মে সু্প্রিম কোর্ট তাঁর মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা বাদে জেল থেকে ছাড়া হয়েছিল তাঁকে। কেন এই দেরি, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সে ব্যাপারেই আজ শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারকে নোটিস দিয়েছে আজ।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ তাদের কারণ দর্শাতে বলেছে।
দেরির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি জেল ম্যানুয়ালের প্রসঙ্গ তোলেন শুনানির সময়। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ বলে, সু্প্রিম কোর্টের রায়ের থেকে জেল ম্যানুয়াল অগ্রাধিকার পেতে পারে না। না, এটা মানা যায় না। প্রথমত, গ্রেফতারিটাই বেআইনি। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে আদালত অবমাননার হুঁশিয়ারিও দেয়।
প্রিয়ঙ্কার দাদার আইনজীবী নীরজ কিষাণ কউল বলেন, ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করে অবিলম্বে ছেড়ে দিতে বলা সত্ত্বেও তা হয়নি। জেল কর্তৃপক্ষ বলে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রত্যয়িত কপি আনতে হবে বা সংশ্লিষ্ট মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে আবেদন করতে হবে।
ঘটনাচক্রে শীর্ষ আদালত তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়ে এও বলেছিল, বিজেপি জনতা যুব মোর্চা কর্মীর গ্রেফতারি অযৌক্তিক, একপেশে।
প্রিয়ঙ্কার পিটিশনে সর্বোচ্চ আদালতের তাঁকে অবিলম্বে জামিনে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ সত্ত্বেও দেরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়। তাঁর দাদা রাজীব শর্মা সু্প্রিম কোর্টে নালিশ করেন, সুপ্রিম কোর্টের ১৪ মের রায়ের পরও বোনকে ২৪ ঘণ্টার ওপর কেটে যাওয়ার পর মুক্তি দেওয়া হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিয়ঙ্কাকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মিম পোস্ট করার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।