নয়াদিল্লি: বেঙ্গালুরু থেকে নাকি রাতারাতি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি কোভিড-১৯ রোগী! তাঁরা যে কোথায় মিলিয়ে গিয়েছেন,  এখন  কোথায় কাদের সঙ্গে মিশছেন, তাঁদের সংস্পর্শে এসে আর কারও দেহে সংক্রমণ ঘটল কিনা,  কেউই তা সঠিক জানে না। তাঁদের খোঁজে প্রশাসনের তরফে প্রচুর তল্লাশি চালানো হয়েছে বটে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখনও কারও খোঁজই পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে চলেছে গোটা দেশেই। কর্নাটকেও পরিস্থিতিও অনুরূপ। কিন্তু কর্নাটক আপাতত সরগরম এই মারাত্মক খবরে।


বিবিএমপি (বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা)-র কমিশনার এন মঞ্জুনাথ প্রসাদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৩৩৮ জন রোগীর কোনও খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না। আশঙ্কার কথা, তাঁদের প্রত্যেকেরই করোনা টেস্টের রিপোর্টই পজিটিভ এসেছিল। তাঁদের খুঁজে বের করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'

প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে মোট আক্রান্তের ছুঁতে চলেছে এক লক্ষ! নতুন করে ৭২ জনকে নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যাও দাঁড়িয়েছে ১৭৯৬ জন!এই অবস্থায় তিন হাজারেরও বেশি করোনা রোগীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়াটা যে রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

জানা যাচ্ছে, যে সমস্ত করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে না, তাঁদের কেউ নমুনা পরীক্ষার সময় ইচ্ছে করে ভুল মোবাইল নম্বর, ঠিকানা দিয়েছেন। সে জন্যই আর খোঁজ মিলছে না তাদের। প্রশাসন সূত্রে খবর,  ওই সব টেস্ট রিপোর্টের ফল পজিটিভ আসার পর থেকেই ওই রোগীরা একেবারে বেপাত্তা। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বেঙ্গালুরুতেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২,০৩৬ জন। এমন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা বাড়তে বাধ্য।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সব দিক বিবেচনা করে নতুন নিয়ম চালু করা হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে। ঠিক হয়েছে, এখন থেকে কারও নমুনা নেওয়ার আগে সরকার প্রথমে তাঁদের পরিচয়পত্র দেখবে। তাঁদের প্রত্যেকের মোবাইল নম্বরও ভেরিফাই করেই ছাড়া হবে।