বেঙ্গালুরু: বছর তিরিশের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে খুন করে তামিলনাড়ুর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে দেহ পুড়িয়ে দিলেন তাঁর স্বামী। বেঙ্গালুরুর সাম্পাঙ্গিরামা নগরে ঘটনাটি ঘটেছে।


মাসখানেক আগে ঘটে এই খুন। মৃতার নাম অক্ষতা। হেব্বালে এক কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। বছরদশেক আগে তাঁর বিয়ে হয় চন্দ্রকান্ত নামে এক রেস্তোঁরা মালিকের সঙ্গে, তাঁদের ৪ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

চন্দ্রকান্ত সন্দেহ করতেন, স্ত্রীর কারও সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে নিয়মিত ঝগড়া হত। ৯ জানুয়ারি অক্ষতা মাকে নিয়ে চন্দ্রকান্তের রেস্তোঁরা সিলভার স্পুনে আসেন, যথারীতি তাঁদের ঝগড়া বেধে যায়। রাগের চোটে স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করে রেস্তোঁরায় দেহ লুকিয়ে ফেলেন চন্দ্রকান্ত। তারপর ডাকেন বন্ধু রাজবিন্দর সিংহকে। দুজনে রাত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন, তারপর গাড়ি করে দেহ নিয়ে রওনা দেন তামিলনাড়ুর দিকে। কামানোড্ডির জঙ্গলে ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে দেন অক্ষতার দেহ। রাজবিন্দর অক্ষতার ফোন নিয়ে নেন, ঘুরতে থাকেন হায়দরাবাদ, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব সহ নানা রাজ্য। চন্দ্রকান্ত বাড়ি ফিরে আসেন, সবাইকে বলেন, অক্ষতা অফিসের কাজে বাইরে গিয়েছেন।

২৩ জানুয়ারি অক্ষতার মা রেখা পুলিশে মেয়ের নিখোঁজ ডায়রি করেন। তিনি বলেন, ৯ তারিখ মেয়ের সঙ্গে তিনি চন্দ্রকান্তের রেস্তোঁরায় যান। অক্ষতা ভেতরে ঢুকে যান, আধঘণ্টা কেটে গেলেও তিনি না ফিরলে রেখাও যান ভেতরে। চন্দ্রকান্ত তাঁকে বলেন, ৫০,০০০ টাকা নিয়ে অনেকক্ষণ আগে বেরিয়ে গিয়েছেন অক্ষতা।

প্রথমে রেখা ভেবেছিলেন, মেয়ে আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। কিন্তু সকলেই জানান, তিনি আসেননি। ফোনে কোনওভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না করা যাওয়ায় তিনি বোঝেন, হারিয়ে গিয়েছেন তাঁর মেয়ে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অক্ষতা-চন্দ্রকান্তের নিয়মিত ঝগড়া হত। চন্দ্রকান্তকে জেরা করলে খুনের কথা স্বীকার করেন তিনি। তামিলনাড়ু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় অক্ষতার পোড়া দেহ।

চন্দ্রকান্ত ও রাজবিন্দর- উভয়কেই গ্রেফতার করা হয়েছে।