বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুর রাজপথের খানা-খন্দ এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। সোমবারই কর্ণাটকের  মুখ্যমন্ত্রী কে.সিদ্দারামাইয়া জরুরিকালীন তৎপরতায় সেখানকার পুর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন বেঙ্গালুরুর রাস্তার ১৫ হাজার খন্দ পরবর্তী দু সপ্তাহের মধ্যে সারিয়ে ফেলতে হবে। সেই নির্দেশের একদিন কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার খন্দ এড়াতে গিয়ে স্কুটার থেকে নীচে পড়ে যান ২১ বছর বয়সি বেঙ্গালুরুর মহিলা জি বিনা। সেইমুহূর্তেই পিছন থেকে আসা একটি ট্রাকের তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর দেভানাহালিতে। গত এক সপ্তাহে খন্দে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার জেরে বেঙ্গালুরুতে প্রাণ গিয়েছে চার ব্যক্তির।

জি বীনা তাঁর দিদির সঙ্গে স্কুটার চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। খন্দ এড়াতে স্কুটারটি সামান্য আস্তে করে দেন তাঁরা। সেই সময়ই একটি ট্রাক এসে তাঁদের পিছন থেকে ধাক্কা মারে। স্কুটার থেকে দুই বোনই পড়ে যান। জি বীনাকে পিষে দিয়ে চলে যায় ট্রাকটি। তাঁর দিদি জি লক্ষ্ণী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। জি বিনাকে পিষে দেওয়ার পরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ঘাতক লরির চালক। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে।

রবিবার জি বীনার মতো একইভাবে রাস্তায় পরে গিয়ে মৃত্যু হয় ৪৭ বছরের রাধা আজানাপ্পার। মহিশূর রোডে স্কুটার চালানোর সময় খন্দ এড়াতে গিয়েই ছিটকে পড়েন রাধা। তারপরই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রাকের সামনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় রাধার। একই ঘটনায় শনিবার মৃত্যু হয় ৫৫ বছরের অ্যান্টনি জোসেফ এবং তাঁর স্ত্রী সাগাই মেরির।

সাম্প্রতিক বৃষ্টি এবং তারপরই রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় সেখানকার রাস্তার এমন বেহাল দশা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে রাস্তা সারাইয়ের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজ শেষ না হলে, তদন্ত করে দেখা হবে গাফিলতির সঙ্গে যুক্ত কারা। কড়া শাস্তি দেওয়া হবে দোষী সাব্যস্তদের, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।