দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবার রক্তাক্ত ভাঙড়। দিনেদুপুরে রাস্তার ওপর খুন আরাবুল ইসলামের অনুগামী তৃণমূল নেতা। যিনি আবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষও।
পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প ঘিরে পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষে ১৭ জানুয়ারি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়। রবিবার সকালে খুনের ঘটনাও ঘটে সেই পাওয়ার গ্রিডেরই সামনে।
এদিন সকালে আরাবুল ইসলামের বাড়িতে বৈঠক সেরে ফিরছিলেন তৃণমূল পরিচালিত ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ আসিতুর রহমান ওরফে বাবুসোনা।
অভিযোগ, নতুনহাট এলাকায় পৌঁছতেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবুসোনা। একটি গাড়ি করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
খুনের ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ভাঙড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে তৃণমূলকর্মীরা। পাওয়ার গ্রিড ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতির পর থেকেই থমথমে ভাঙড়। স্থানীয়দের দাবি, বড়সড় সংঘর্ষের না ঘটলেও বিক্ষিপ্ত অশান্তি লেগেই আছে। কখনও গুলি, কখনও বোমাবাজি।
রবিবারও ভাঙড়ে দু’টি মিছিল হওয়ার কথা ছিল। একটি জমি আন্দোলনকারীদের, অন্যটি তৃণমূলের। প্রায় একই জায়গায় দু’টি মিছিল ঘিরে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছিলেন গ্রামবাসীদের অনেকেই। কিন্তু, মিছিল শুরুর আগেই তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনা ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠল ভাঙড়।