নয়াদিল্লি: # রাজগীর থেকে দিল্লিমুখী শ্রমজীবী এক্সপ্রেস আটকানো হল নালন্দায়।


# শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে জাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিরোধিতায় আজ কয়েকটি অনামী সংগঠনের ভারত বনধের ডাকে নানা জায়গা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। বিহারের আরায় বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন গুলি চলেছে, জখম হয়েছেন ৬-৭ জন পুলিশকর্মী। এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

২ তারিখের দলিত বনধে অশান্তির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আজকের বনধ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছে।

তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায় সংক্রান্ত আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে ২ তারিখ দলিতদের ডাকা ভারত বনধে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়। পোড়ানো হয় অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি। সেদিনের ঠিক ৮ দিন পর আজকের এই বনধ ঘিরে তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানে আলাদা করে নিরাপত্তামূলক সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই তিন রাজ্যেই দলিত বনধের দিন সবথেকে বেশি অশান্তি হয়।

তবে আজকের সংরক্ষণ বিরোধী বনধ নিয়ে দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে তেমন হেলদোল নেই, যেমনটা নেই এ রাজ্যে। যদিও সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র, নিরাপত্তা  বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, ২ তারিখের বনধের পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই সংরক্ষণ বিরোধী বনধের ডাক দেওয়া হয়। রাজস্থানের সর্ব সমাজ নামে একটি অনামী সংগঠন বনধের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছে। মধ্য প্রদেশে নির্দেশ এসেছে আজ স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার। ভিন্দ, গোয়ালিয়র ও মোরেনায় দলিত বনধে ৬ জন মারা যান, এই তিন এলাকায় আজ জারি থাকবে কারফিউ। গুজরাত থেকে রাস্তা রোখার খবর এসেছে।