ভোপাল: বয়স মাত্র ১০। এরই মধ্যে পৃথিবীটা ওলটপালট হয়ে গিয়েছে ভোপালের একটি স্কুলের পড়ুয়া ময়ঙ্ক ছাওয়ানির। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার বাবা ভীষ্ম ছাওয়ানির মৃত্যু হয়। মাকে আঁকড়ে ধরেই বেড়ে উঠছিল ময়ঙ্ক। কিন্তু কয়েকদিন আগে বাস থেকে নামতে গিয়ে মাথায় মারাত্মক চোট পান তার মা দিশা ছাওয়ানি। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ‘ব্রেনডেড’ হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার আর কোনও সম্ভাবনাই প্রায় নেই। এই পরিস্থিতিতে সব হারিয়েও চূড়ান্ত মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে মায়ের অঙ্গ দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ময়ঙ্ক। তার আশা, অসুস্থ ব্যক্তিদের জীবন দেওয়ার মাধ্যমেই বেঁচে থাকবেন মা।
ময়ঙ্কের কাকা জগদীশ ছাওয়ানি জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার পর দিশাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওর নাড়ি ঠিকমতো চললেও, মস্তিষ্ক সাড়া দিচ্ছিল না। চিকিৎসকরা ওকে ভেন্টিলেটরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার চিকিৎসকরা আমাদের জানান, দিশার সেরে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ওর মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমাদের উপরেই ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা। পরিবারের সবাই বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নিয়ে অন্যদের জীবন বাঁচানোর জন্য দিশার অঙ্গ দান করার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। তবে নাবালক হলেও ময়ঙ্কের সম্মতি জরুরি ছিল। ও মায়ের সেরা ওঠার আশা নিয়ে রোজ হাসপাতালে এলেও, সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আমাদের জানায়, আমাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে।’
পরিবার সূত্রে খবর, ময়ঙ্কের এক মহিলা আত্মীয় তাকে মায়ের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বাস্তব পরিস্থিতি বোঝান। এরপরেই ময়ঙ্ক বলে, তার মা যাতে মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকেন, সেটা নিশ্চিত করতে চায় সে। এরপর অঙ্গদান করার জন্য দিশার দেহ অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
৭ বছর আগে মৃত্যু বাবার, দুর্ঘটনায় ‘ব্রেনডেড’ মায়ের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত ভোপালের ১০ বছরের ছেলের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
26 Jan 2020 06:15 PM (IST)
তার আশা, অসুস্থ ব্যক্তিদের জীবন দেওয়ার মাধ্যমেই বেঁচে থাকবেন মা।
ফাইল ছবি
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -