ভোপাল: একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার বিমানে প্রকাশ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। এবার ভোপালের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হল তাঁকে। বিক্ষোভকারীরা তাঁকে দেখে 'টেররিস্ট গো ব্যাক' স্লোগানও দিলেন। জানা গেছে, ভোপালের মাখনলাল চতুর্বেদী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে হাজিরা ইস্যুতে ধর্ণায় বসেছিলেন ছাত্রীরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন ক্যাম্পাসে প্রজ্ঞা পৌঁছলে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার (এনএসইউআই) কর্মী ও পড়ুয়ারা 'আতঙ্কবাদী ওয়াপস যাও' স্লোগান তোলেন। গত বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ধর্ণায় বসেছিলেন দুই ছাত্রী। তাঁরা তাঁদের ধর্ণা প্রত্যাহার করতে রাজি হননি। ভোপালের সাংসদ ধর্ণাকারীদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। এনএসইউআই-র পড়ুয়া কর্মীরা প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং স্লোগান দেন।



জানা গেছে, প্রায় আধঘন্টা ধরে গোলমাল চলে। এনএসইউআই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে প্রজ্ঞার সমর্থদের বাকযুদ্ধ শুরু হয়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভোপালের সাংসদ বিক্ষোভকারীদের দেশ-বিরোধী বলে তোপ দেগেছেন এবং জানিয়েছেন, এক মহিলা সাংসদকে অপমান করার জন্য তিনি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবেন।

এই ঘটনা সম্পর্কে এনএসইউআই সভাপতি বিবেক ত্রিপাঠী বলেছেন, ছাত্র ও কর্মীরা প্রজ্ঞাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেননি। কারণ, তিনি পড়ুয়াদের বিষয় নিয়ে রাজনীতি করছিলেন।
গত সপ্তাহেই একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার দিল্লি থেকে ভোপালগামী বিমানে আসন বরাদ্দ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন ভোপালের সাংসদ। তিনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন। একইসঙ্গে তিনি বলছিলেন, অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানাবেন।
গত শনিবার বিমানে আসন বরাদ্দ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে তাঁর বচসার একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
বিমান পরিবহণ সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, বিমানকর্মী প্রজ্ঞাকে নন-এমার্জেন্সি আসনের সারিতে যেতে বলেন। কারণ, তিনি হুইলচেয়ারে ছিলেন। কিন্তু তিনি তা করতে অস্বীকার করেন।এতে বিমান ছাড়তে বিলম্ব হয়।