বিএইচইউয়ের ত্রিবেণী কমপ্লেক্সে হয় ওই বৈঠক। কোনও ছাত্রী মোবাইলে তুলে নেয় বৈঠকের কথোপকথন। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক ছাত্রী উপাধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসা করছেন, স্যার আপ ধর্ম সে বাতাইয়ে কেয়া লডকিয়োঁ পর লাঠিচার্জ করনা ঠিক হ্যায়। জবাবে ত্রিপাঠি বলছেন, ধর্মের কথা শুধু তারাই বলতে পারে, যারা নিজেরা ধর্মপথে চলে। একজন মেয়ের শ্লীলতাহানির কথা সকলের সামনে উজাড় করে দিয়ে তোমরা কোন ধর্ম পালন করেছ।
শ্লীলতাহানির কথা চেপে যেতে উপাধ্যক্ষের এই উপদেশ স্বাভাবিকভাবেই ধিক্কৃত হয়েছে শিক্ষা মহলে, সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ত্রিপাঠী আরও বলছেন, বহুবার সিনিয়র শিক্ষকরা এসে তোমাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কতবার এখানে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে? কতবার আমি তো হস্টেলে এসেছি, একবারও কেউ বলেছে, কিছু ঘটেছে?
বৈঠকের পর বিএইচইউ একটি প্রেস নোট জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, উপাধ্যক্ষ মেয়েদের বলেছেন, আর্ন হোয়াইল লার্ন প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরশিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করা উঁচু ক্লাসের ছাত্রীদের নিরাপত্তা কর্মীর পদে নিয়োগ করা হবে।