নয়াদিল্লি: দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পথ আরও প্রশস্ত করল মোদী সরকার। প্রতিরক্ষা থেকে অসামরিক বিমান পরিবহণ, সবক্ষেত্রেই বিদেশি বিনিয়োগের জন্য হাট করে দরজা খুলে দেওয়া হল!


এবার প্রতিরক্ষা, অসামরিক বিমান পরিবহণ এবং ওষুধ শিল্পে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ২৬ শতাংশ। ক্ষমতায় এসেই তা বাড়িয়ে ৪৯ শতাংশ করে দেয় মোদী সরকার। এবার একেবারে ১০০!

কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের দরজা পুরোপুরি খুলে দেওয়ায় বিঘ্নিত হবে দেশের নিরাপত্তা।

শুধু প্রতিরক্ষাই নয়। ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে, অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রেও। মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে নতুন বিমানবন্দরে সরাসরি ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ করা যাবে। বন্ধ বিমানবন্দর নতুন করে চালু করার ক্ষেত্রে, এই ঊর্ধ্বসীমা ৭৪ শতাংশ। তবে সরকার চাইলে তা বাড়িয়ে ১০০ করে দিতেই পারে।

একইভাবে ওষুধশিল্পেও, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে।

বিদেশি বিনিয়োগের দরজা পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়েছে, ডিটিএইচ, কেবল নেটওয়ার্ক, মোবাইল টিভি, ই কমার্স এবং  পশুপালনের ক্ষেত্রেও। বিদেশি বিনিয়োগের নিয়ম-কানুন শিথিল করা হয়েছে, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার ক্ষেত্রে।

মোদী সরকারের দাবি, এ দিনের সিদ্ধান্তের জেরে আরও বেশি করে বিদেশি বিনিয়োগ টানা যাবে। যদিও কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দলই এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের মতে, এ ভাবে প্রতিরক্ষায় ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য দরজা খুলে দিয়ে কি দেশের নিরাপত্তাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া হল না?