পটনা: রাষ্ট্রবিজ্ঞানে কী শেখানো হয়? না, রান্নাবান্না। অ্যালুমিনিয়াম কীরকম ধাতু? রেডিওঅ্যাকটিভ। এলি তেলি কেউ নয়, বিহারে ক্লাস টুয়েলভ পরীক্ষায় সদ্য উত্তীর্ণ টপাররা এই নম্বর দিয়েছে। তাও নিজের নিজের বিষয়ে। এরপরেই বিহার স্কুল এগজামিনেশন কন্ট্রোল বোর্ড বা বিএসইসিবি দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের পরীক্ষার ফল প্রকাশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানিয়েছে, তথাকথিত ওই টপারদের খাতা পরীক্ষা করে দেখা হবে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞান ও কলার পাশাপাশি বাণিজ্য বিভাগের শীর্ষস্থানাধিকারীদের সকলকে শুক্রবার আবার পরীক্ষা দিতে হবে। নেওয়া হবে ইন্টারভিউও। যদি ইন্টারভিউযে তারা ফেল করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বাতিল হয়ে যাবে পরীক্ষার ফলও।
দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কলা ও বিজ্ঞান বিষয়ে যারা প্রথম হয়েছে, নিজের নিজের বিষয়েই তাদের ন্যূনতম ধারণাটুকু নেই। কলা বিষয়ের প্রথম রুবি কুমারীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তার বিষয় পলিটিক্যাল সায়েন্স কী নিয়ে পড়ানো হয়। উত্তর দেয়, রান্নাবান্না। এমনকী পলিটিক্যাল সায়েন্সকে সে উচ্চারণ করেছে, প্রডিকাল সায়েন্স। ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষা কত নম্বরে হয়, তাও জানে না সে। ঠিক একইভাবে দেখা যাচ্ছে, বিজ্ঞান বিভাগের টপার সৌরভ শ্রেষ্ঠের বিজ্ঞান সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণাই নেই। সে মনে করে, অ্যালুমিনিয়াম রেডিওঅ্যাকটিভ ধাতু। সোডিয়াম, ইলেকট্রন সম্পর্কে বলতে পারেনি কিছুই।
সেরাদের জ্ঞানের এই হাল দেখে মাথায় হাত বিহারবাসীর। এমনিতেই সারা দেশ জানে, বিহারে পরীক্ষার হলে ব্যাপকহারে টোকাটুকি হয়। তা বলে শিক্ষার এই শোচনীয় হাল এভাবে প্রকাশ্যে এসে পড়ায় লজ্জায় পড়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। তারা জানিয়েছে, যদি দেখা যায়, সৌরভ, রুবিদের এত ভাল রেজাল্টে কোনও সরকারি কর্মীর হাত রয়েছে, তবে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, এই রুবিও বিহারের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীর মত আইএএস অফিসার হতে চায়। সৌরভ আবার চায় বিজ্ঞানী হতে। এরা দুজনেই বৈশালীর এক কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে।