পটনা: বিহার বিধানসভার ভোট গণনায় সকাল থেকেই দুই প্রতিপক্ষ নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ ও তেজস্বী প্রসাদের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের তীব্র টক্কর চলছে। এগিয়ে নীতীশের এনডিএ। প্রবণতা অনুযায়ী, এবারও হয়ত বিরোধী আসনেই বসতে হতে পারে আরজেডি-কে। ভোট গণনার প্রবণতা অনুযায়ী, বিরোধী জোটের দুর্বলতম শরিক কংগ্রেস। আর তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে, আসন বন্টনের অঙ্কে কি গোলমাল করে ফেলেছেন তেজস্বী, কংগ্রেসকে প্রাপ্যের তুলনায় বেশি আসন দিয়ে ফেলেছেন?

বিরোধী জোটের শরিকদের মধ্যে আরজেডি (১৪৪)-এর পর সবচেয়ে বেশি ৭০ আসনে লড়াই করেছে কংগ্রেস। সিপিএম-কে দেওয়া হয় ৪ আসন এবং সিপিআই (এমএল) কে ১৯ আসন।

গণনার প্রবণতা অনুযায়ী, ইউপিএ জোটের প্রত্যেক শরিকের স্ট্রাইক রেট ভালো কংগ্রেসের চেয়ে। বড় দলগুলির মধ্যে কংগ্রেস আসন সংখ্যার নিরিখে চতুর্থ স্থানে থাকতে চলেছে বলে অনুমান।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী বিহারে প্রচার করেছেন। কিন্তু তেজস্বী যাদবের বিশাল বিশাল সমাবেশের সঙ্গে তুলনীয় হয়নি। গত বছরও দুই দলের জোটের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল। এনডিএ বিহারে ৪০ আসনের মধ্যে ৩৯ টিতেই জিতেছিল। কংগ্রেস একটি আসন পেয়েছিল। আরজেডি খাতাও খুলতে পারেনি।

দলের রাজ্যসভা নেতা নাসির হুসেন বলেছেন, আমরা মানি যে, রাজ্যে কংগ্রেস ছোট দল। রাহুল গাঁধী ভোটের প্রচারে সার্বিক প্রয়াস চালিয়েছিলেন। কিন্তু এটা ঠিক যে, দলের সাংগঠনিক কাঠানো মজবুত করার প্রয়োজন রয়েছে।

শরদ যাদবের কন্যা সুভাষিনী শরদ যাদব, অভিনেতা তথা নেতা শত্রুঘ্ন সিনহার ছেলে লভ সিনহাও আশানুরূপ ফল করতে পারেননি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত, কংগ্রেসের চাহিদা মতো ( ৭৫ ছিল বলে খবর) তেজস্বী ৭০ আসন না দিলে আরজেডি-র পারফরম্যান্সে ভর করে বিরোধী জোট আরও ভালো অবস্থায় থাকতে পারত।

প্রাক্তন জেডিইউ নেতা পবন ভার্মা বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও বিকল্প নেই। কংগ্রেস মোদি ও বিজেপির সঙ্গে টক্করে কোনও দাগই কাটতে পারেনি। আরজেডি কংগ্রেসকে ৪৮ আসন ছাড়তে চেয়েছিল। কিন্তু দরকষাকষিতে তারা আরও বেশি আসন পায়। কিন্তু এতগুলি আসনে লড়ে কংগ্রেস কী করল, তা এখন দেখাই যাচ্ছে।