নয়াদিল্লি: ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বড় জয় বিজেপির। ২০১৪ সালের নিরিখে আসন বেড়েছে বিজেপির। শক্তি বাড়িয়েছে এনডিএ-ও। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ছবিটা পাল্টাতে শুরু করেছে। বিজেপির হাতছাড়া হয় মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য। ফাটল ধরে এনডিএ-তেও। আধাআধি-র ফর্মুলায় রাজি না হওয়ায় মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ে শিবসেনা। এরপর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, নাগরিকপঞ্জির মতো ইস্যুতে ক্রমশ ‘বন্ধুত্বহীন’ হয়ে পড়তে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহদের। জোট শরিকরা কেউই বিজেপি-কে দু হাত তুলে সমর্থনের পথে এগোচ্ছে না। প্রশ্ন তুলেছেন শরিক নীতিশ কুমারের জেডিইউ-ও। সামনেই বিহারের ভোট। এই অবস্থায় কোন পথে হাঁটবে শাসক দল? বিজেপি সূত্রের খবর, লোকসভার মতো ৫০-৫০ আসনেই লড়ার কথা ভাবছে তারা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একদফা আলোচনাও সেরে ফেলেছে দিল্লির নেতারা।


লোকসভায় বিহারে ১৭টি করে আসনে লড়েছে বিজেপি ও জেডিইউ। জোটের আরেক শরিক লোক জনশক্তি লড়েছে ৬টি আসনে। ৪০টি আসনের মধ্যে ভাগবটোয়ারা করার পর ৩৯টি আসনেই জিতেছে এনডিএ জোট।  ১৭টি আসনে জিতেছে বিজেপি। জেডিইউ জিতেছে ১৬টি-তে। বাকি ৬টি আসনে জয় পায় এলজেপি। এবারও এই ফর্মুলা বজায় রেখেই ভোটে লড়তে চায় গেরুয়া শিবির। এলজিপি সহ ছোট শরিক দলকে আসন দেওয়ার পর যে আসন অবশিষ্ট থাকবে, সেই আসন সমান ভাবে ভাগাভাগি করে নেওয়া হবে।


যদিও নীতিশ কুমারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য আসেনি। বরং অন্য সূত্রের দাবি, বিহারে বেশি আসনে লড়ার কথা অমিত শাহকে জানিয়েছেন নীতিশ কুমার। প্রসঙ্গত, বিহারে ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে ৭০টি আসন রয়েছে জেডিইউ-এর দখলে। ৫৪টি আসনে জিতে রয়েছে বিজেপি। ৮১টি আসন জিতে বিহারে বিরোধী দলের আসনে বসেছে লালু প্রসাদের আরজেডি। যদিও বিগত বিধানসভায় জেডিইউ-আরজেডি জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এমনকি সরকার পর্যন্তও গঠন করে। এরপর সেই সরকার ভেঙে দিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফের ক্ষমতায় আসেন নীতিশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী হন সুশীল মোদি।