পটনা: বিয়ের আসরে তখন বর ও কনের মালা বদলও হয়ে গিয়েছে। এরপর ছাদনা তলায় সিদুঁরদানের আগে বর তাঁর পাগড়ি খুলতেই ছন্দপতন। বরের মাথায় টাক দেখে বিয়ে করতে বেঁকে বসলেন কনে। উভয়পক্ষের পরিবারের হাজার অনুরোধেও কনে ওই পাত্রকে বিয়ে করতে রাজি হলেন না।
এই ঘটনায় আদৌ ভেঙে পড়েননি বর। সেদিনকার মতো বাড়ি ফিরে যান তিনি। অন্য কোনও মেয়েকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাড়ির লোকজন হন্যে হয়ে কনের খোঁজ শুরু করলেন। দ্বারস্থ হলেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের। শেষপর্যন্ত পঞ্চায়েতে সদস্যরা পাত্রীর হদিশ দিলেন। স্থানীয় সব্জি বিক্রেতা মহেশ প্রসাদের মেয়ে নেহাকে দেখলেন পাত্রপক্ষ। বিয়ে ভাঙার দুদিনের মধ্যেই রামজানকি মন্দিরে নেহাকে বিয়ে করলেন বর। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিহারের সগৌলিতে এই ঘটনা ঘটেছে। পেশায় দিল্লি হাসপাতালের নিউরোসার্জন ডাক্তার রবি কুমারের বিয়ে এক বছর আগে থেকেই ঠিক হয়েছিল।
বিয়ের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছিল। বিয়ের আগে প্রাক-বিবাহ প্রথা উভয় পরিবারই পালন করেছিল। বিয়ের আসরে উভয়পক্ষেরই লোকজন পৌঁছে গিয়েছিলেন। উত্সবের আবহ এক লহমায় বদলে গেলে কনের নাছোড় মনোভাবে। কিন্তু কুমার দুদিনের মধ্যেই নতুন কনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন।
বিহারেরই নওয়াদা জেলাতে রানি কুমারী নামে এক কনে বর বিয়ের আসরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। গত মঙ্গববার সুধীর চৌধুরী নামে পাত্রের সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বিয়ের আসরে বর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
অন্য আরও একটি ঘটনায় বরের রঙ কালো হওয়ায় এক কনে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন। কনে তাঁর আত্মীয়দের বলেছেন, পাত্র আদৌ স্মার্ট নয়। তাই ওই পাত্রকে বিয়ে করতে চান না তিনি।