গাজিয়াবাদ:  আইএএস অফিসার, বর্তমানে বিহারের বক্সারের জেলাশাসকের পদে ছিলেন মুকেশ পাণ্ডে। গতকাল গাজিয়াবাদ স্টেশনের রেল লাইন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। তবে সুইসাইড নোটে বহুতল থেকে ঝাঁপ দেব লিখে, কেন রেললাইন থেকে মিলল তাঁর দেহ সেবিষয়ে এখনও দ্বন্দে পুলিশ। চলন্ত ট্রেনের তলায় মাথা দেওয়ায় আধিকারিকের শরীরটি মাথা থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল, জানিয়েছে রেল পুলিশ।

২০১২ সালে চতুর্দশ স্থান পেয়ে আইএএস পাস করেন মুকেশ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আধিকারিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, প্রশাসনের এক অত্যন্ত দক্ষ অফিসারের মৃত্যুতে তিনি শোকাহত। এই দুঃসময় তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পুলিশ মৃত আইএএস আধিকারিককে চিহ্নিত করতে পারেন, তাঁর দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া আইডি কার্ড দেখে। এরপরই জিআরপি গাজিয়াবাদের জেলাশাসক ও পুলিশকে খবর দেয়। মৃত আধিকারিকের দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে।

দেহের পাশ থেকে যে সুইসাইড নোটটি উদ্ধার হয়েছে, সেখানে লেখা ছিল দিল্লির এক অভিজাত হোটেলে আরও বিস্তারিত ভাবে লেখা আছে তিনি কেন আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যা করার আগে তিনি অপর এক সুইসাইড নোটে লিখেছিলেন বহুতলের ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করবেন। আত্মহত্যার আগে নিজের বেশ কিছু আত্মীয়কে হোয়াটসঅ্যাপ করে নিজের মনের কথাও তিনি জানান। তারপর পুলিশ নিয়ে খোঁজ শুরু করলেও, তাঁকে খুঁজে পাননি আত্মীয়রা।

মৃত অফিসারের গায়ে একটি ট্রাউজার ছিল, পায়ে স্যান্ডেল পরা ছিল। তাঁর টি-শার্টটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। জানা গিয়েছে অফিসারের তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল না। তবে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছতে নারাজ পুলিশ।