প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাাঝি রবিবার ট্যুইট করে বলেছেন, রাজনীতিতে জোটধর্ম পালন যদি শিখতে হয়, তাহলে নীতীশজীর থেকে শেখা যেতে পারে। জোটে শরিকদলগুলির অভ্যন্তরীন বিরোধ ও চক্রান্ত সত্ত্বেও তাঁদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া রাজনৈতিক দিক থেকে নীতীশ কুমারকেও আরও মহান করে তোলে। নীতীশ কুমারের এই স্পিরিটকে মাঝির কুর্ণিশ।
এবারের ভোটে বিজেপির জুনিয়র শরিক হিসেবে বিহারের ক্ষমতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর দল জেডিইউ বিজেপির থেকে অনেক কম আসন পেয়েছে। আর শক্তি কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এনডিএ-তে জেডিইউ-র পরিবর্তে পাল্লাভারি হয়েছে বিজেপির। নীতীশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হলেও জোটে তাঁর কথা খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না বলেই জল্পনা। বিগত কিছুদিনের ঘটনাক্রম দেখলে এই জল্পনার অনেকটাই সত্যতা রয়েছে বলে আভাস মিলতে পারে।
কিছুদিন আগেই অরুণাচলে জেডিইউ-র বিধায়কদের বিজেপিতে সামিল করে নেওয়া হয়। বিহারে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণও এখনও হয়নি। এই ইস্যুগুলি নিয়ে দুই দলের নেতাদের যে মন্তব্য সামনে এসেছে, তাতে কোথাও না কোথাও দুই দলের সম্পর্কে চিড় ধরার ইঙ্গিত ছিল। যদিও এ ব্যাপারে বিজেপি ও জেডিইউ-র শীর্ষ নেতৃত্ব নীরবতাই বজায় রেখে চলছে। জোটের অন্দরে যে সব কিছু ঠিকঠাক নেই, বিহারে এনডিএ-র শরিক দল হ্যামের প্রধান জিতন রাম মাঝির ট্যুইটে সেই ইঙ্গিতই রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে জেডিইউ-র জাতীয় পরিষদের বৈঠকে নীতীশের মন্তব্য ঘিরেও জল্পনা দেখা দিয়েছে। শনিবার নীতীশ দলের জাতীয় পরিষদের বৈঠকে বলেছেন, ভোটের আগে বোঝাই গেল না কে বন্ধু, কে শত্রু।
তিনি অবশ্য বলেছেন, সরকার পাঁচ বছরই চলবে। তিনি বলেছেন, এনডিএ-তে আসন ভাগাভাগিতে বিলম্বের মাশুল জেডিইউ-কে দিতে হয়েছে। জানা যায়নি, কে বন্ধু, কে শত্রু। অর্থাৎ কে সঙ্গে রয়েছে, কে নেই। ভোটের পাঁচ মাস আগেই আসন বন্টনের কাজ শেষ হওয়া দরকার ছিল।