পটনা: পটনা: গাড়ির রেষারেষির জেরে ২০ বছরের এক তরুণকে খুনের ঘটনায় বিহার বিধান পরিষদের সদস্য (এমএলসি) মনোরমা দেবী রাকেশের ছেলে রঞ্জন যাদবকে আজ কাকভোরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ড রাজ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার তিনদিন পর অবশেষে ধরা পড়ল রাজ্যের শাসক দল জেডি-ইউ বিধায়কের ছেলে। স্থানীয় একটি আদালত তার ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাত্পর্য্যপূর্ণ ব্যাপার, এক্ষেত্রে পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে পায়নি।
গত শনিবারের ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল রকি। এদিন ভোর তিনটে নাগাদ বোধগয়াতে তার বাবা বিন্দি যাদবের মিক্সার প্ল্যান্ট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পদস্থ পুলিশ আধিকারিক (এসএসপি) গরিমা মল্লিক জানিয়েছেন, রকিকে তার বাবার কারখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দিন যে পিস্তলটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। মুখ ঢাকা অবস্থাতে রকিকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনেও আনা হয়
গরিমা মল্লিকের দাবি, নিজের বয়ানে রকি তার অপরাধ কবুল করেছে।
কিন্তু এর কয়েক মিনিট পরেই রকি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। আদালতে তোলার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রকি দাবি করে, গুলি তো সে করেইনি, ঘটনার সময়ও সে নাকি গয়ায় ছিলই না। ছিল দিল্লিতে, মা ডাকায় বাড়ি ফিরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
রকির বয়ান উড়িয়ে দিয়ে পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, আত্মসমর্পণ করেনি রকি, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত শনিবার গয়ার রাস্তায় রকির গাড়িকে ওভারটেক করে আদিত্য সচদেব নামে এক স্কুলছাত্রর গাড়ি। এই অপরাধে রকি আদিত্যকে গুলি করে মারে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্থানীয় এলাকার মাসল ও মানি পাওয়ারের জন্য পরিচিত বিন্দি যাদব এবং মনোরমা দেবীর দেহরক্ষী রাজেশ কুমারকে গত রবিবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এসএসপি জানিয়েছেন, বাজেয়াপ্ত পিস্তলের লাইসেন্স রকির নামেই। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশনও তার নামেই। এসএসপি তদন্তের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপের কথা খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি দ্রুত বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে, নিহত আদিত্যর মা দ্রুত বিচার এবং দোষীর মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন।