পটনা: রাস্তা বন্ধ করে বাস ট্রাম পুড়িয়ে ইট পাটকেল ছুঁড়ে আন্দোলন চলবে না। তাহলে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট তা উল্লেখ করবে পুলিশ, মিলবে না সরকারি চাকরি। এমনই সার্কুলার ইস্যু করেছে বিহার পুলিশ। বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে স্বৈরাচারী অ্যাডলফ হিটলার, বেনিতো মুসোলিনির সঙ্গে তুলনা করেছে।
বিহার পুলিশ তাদের সার্কুলারে বলেছে, যাঁরা রাস্তায় নেমে ধর্না আন্দোলন করবেন, রাস্তা অবরোধ করবেন তাঁরা সরকারি চাকরি পাবেন না, পাবেন না কোনওরকম সরকারি টেন্ডারও। বিহারের ডিজিপি এসকে সিঙ্ঘল ইস্যু করেছেন এই সার্কুলার। তাতে বলা হয়েছে, যদি কেউ কোনও প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগ দেন যা পরে হিংসাত্মক রূপ নিতে পারে, তাহলে পুলিশ তাঁর সার্টিফিকেট অফ কনডাক্ট বা ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটে তা উল্লেখ করবে। রাজ্য সরকার মালিকানাধীন মদের দোকান, সরকারি চাকরি, আগ্নেয়াস্ত্রর লাইসেন্স আর পাসপোর্ট পেতে হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কেউ যদি এমন কোনও আন্দোলনে যুক্ত থাকেন যার ফলে আইন শৃঙ্খলাগত সমস্যা হয়েছে ও তাঁর বিরুদ্ধে যদি পুলিশে অভিযোগ হয়, তবে তা ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা থাকবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সরকারি চাকরি পাবেন না তাঁরা, না পাবেন সরকারি মালিকানাধীন মদের দোকান খোলার অধিকার।
এই সার্কুলারের কড়া নিন্দা করেছে বিরোধীরা। আরজেডি নেতা ও বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব সার্কুলারের স্ক্রিনশট টুইটারে শেয়ার করেছেন। বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার হিটলার, মুসোলিনিদের কড়া প্রতিযোগিতার সামনে ফেলে দিয়েছেন।
দেখুন তাঁর টুইট
সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে কিছুদিন আগেও বিতর্কের মুখে পড়ে বিহার পুলিশ। গত মাসে প্রকাশিত ওই সার্কুলারে বলা হয়, রাজ্য সরকার, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও রকম আপত্তিকর পোস্ট করা হলে তা সাইবার অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং পোস্টদাতার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সার্কুলারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয় বিরোধীরা।