নয়াদিল্লি :‘ ভালো রেজাল্ট’-এর ঠেলায় ফেরার হতে হল বিহারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কলা ও বিজ্ঞান শাখার প্রথম স্থানাধিকারী দুই ছাত্রকে। সেইসঙ্গে পলাতক বিষুণ রাই কলেজের ডিরেক্টর তথা প্রিন্সিপাল অমিত রাইকে। তিনি আবার আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ। গত সোমবার বিহার স্কুল এডুকেশন বোর্ডের পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এফআইআরে নাম রয়েছে বিজ্ঞান শাখার প্রথম সৌরভ শ্রেষ্ঠ, কলা শাখার প্রথম রুবি রাই।এছাড়াও আরও দুই শীর্ষ স্থানাধিকারী রাহুল কুমার ও শালিনীর নামও রয়েছে।
বিষুণ রাই কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল রুবি। এই কলেজের ডিরেক্টর অমিত কুমার তথা বাচ্চা রাই লালুপ্রসাদের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আরজেডি-র টিকিট পাওয়ার জন্য তদ্বির করেছিলেন বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শীর্ষস্থানাধিকারীদের মধ্যে ১০ জনই বিষুণ রাই কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। বিজ্ঞান শাখার প্রধান সৌরভ শ্রেষ্ঠ এই কলেজেরই ছাত্র। পরীক্ষার পর সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় তার জ্ঞানের বহর প্রকাশ্যে আসার পরই সন্দেহ দানা বাঁধে।
গত বছর বাচ্চা রাইয়ের মেয়ে সোনালিও পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখায় প্রথম হয়েছিল। সাফল্যের এই চোখধাঁধানো রেকর্ডের জন্য বিষুণ রাই কলেজে ছাত্রদের ভর্তির ভিড় লেগেই থাকে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।