লক্ষ্ণীসরাই,পটনা:  দিল্লির বিভীষিকাময় গণধর্ষণকাণ্ড এবং তার সঙ্গে যুক্ত দোষী সাব্যস্তদের কঠিন সাজা ঘোষণার পরও যে সমাজে মেয়েদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এতটুকু উন্নতি হয়নি, তা আরও একবার প্রমাণ হয়েগেল   বিহারের লক্ষ্ণীসরাইতে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা থেকে। গণধর্ষণ করে এক কিশোরীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিল অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, তারপর তাঁকে পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বেডের অভাব দেখিয়ে ছ ঘণ্টা বিনা চিকিত্সায় ফেলে পর্যন্ত রাখা হয়।


দিন কয়েক আগেই গুরুগ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণ ও তারপর তাঁর কোল থেকে কী ভাবে আট মাসের শিশুকে ছুঁড়ে ফেলা হয় সেখবর দেখেছিল সারা দেশ। গ্রেফতারও হয় অভিযুক্তরা। সেই ঘটনার পনেরো দিনের মধ্যে বিহারের লক্ষ্ণীসরাইতে ফের একইরকম লালসার শিকার হল ১৬ বছরের এই কিশোরী। এখন তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

পুলিশ সূত্রে দাবি, মেয়েটি শুক্রবার রাতে প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্যে বাইরে গিয়েছিলেন। সেসময়ই আচমকা তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ছজন মিলে ধর্ষণ করে। তারপর লোকাল ট্রেনে নিয়ে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। শনিবার সকালে রক্তাক্ত, আহত অবস্থায় মেয়েটির বাড়ির লোকেরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। মেয়েটির বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ এক নাবালককে গ্রেফতারও করেছে লাখোচাক গ্রাম থেকে। অপর একজনকেও চিহ্নিত করেছেন কিশোরী। সেই অভিযুক্ত আবার মেয়েটির দাদার বউকে গত বছর খুন করার অভিযোগে যুক্ত রয়েছে।

এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আপাতত বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।