পটনা: রাজ্যে ক্রমবর্দ্ধমান হিংসার ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রামনবমীর মিছিলের সময় সাম্প্রতিক হিংসা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের ব্যর্থতা নীতীশ সরকারকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। এরইমধ্যেই একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট ছেড়ে নীতীশের দলের বিজেপি শিবিরে ফিরে গিয়ে সরকার গঠনের পর থেকে বিহারে গোষ্ঠীগত উত্তেজনা সংক্রান্ত ঘটনার সংখ্যা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
সরকারি তথ্য উল্লেখ করে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, নীতীশ এনডিএ শিবিরে ভেড়ার পর থেকে ২০১৮-তে ৬৪ সহ মোট ২০০-র বেশি এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে গত ছয় বছরে এ ধরনের প্রায় ৯০০ ঘটনা ঘটেছে। ২০১২-তে এর সংখ্যা ছিল ৫০। ২০১৩-তে ১১২ টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ২০১৫-তে সংখ্যাটি ছিল ১১০। ২০১৬-তে তা বেড়ে হয় ১৫৫, ২০১৭-তে ২৩০। ২০১৭-তে সবচেয়ে বেশি ২৭০ টির মতো ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে এ বছর রাম নবমীর মিছিলে , বিশেষ করে ঔরঙ্গাবাদ, নালন্দা ও শেখপুরা জেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েতের কথা উল্লেখ করেছে। রাম নবমীর মিছিলগুলিতে অস্ত্রের ঝনঝনানির বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সূত্র উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, অতীতেও এই মিছিলে তরবারি ও বল্লমের মতো অস্ত্র থাকত। কিন্তু অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাটি এবার ছিল অনেক বেশি, যাদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা ছিল তাতপর্য্যপূর্ণ। আর তরুণদের হাতে দেখা গিয়েছে তরবারির মতো অস্ত্র। নির্দিষ্ট কোনও লক্ষ্যে কোনও নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ওই নয়া অস্ত্রগুলি সরবরাহ করেছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।
বিহার পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, রাম নবমী এবং দুর্গা পুজোর সময় রাজ্যের পরিস্থিতি সর্বদাই স্পর্শকাতরই থাকে। তবে চলতি বছর গোষ্ঠী হিংসার ঘটনা বেড়েছে, এমনটা এখনই বলা যায় না বলে তিনি দাবি করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এটা ঠিক যে, এবার আরও বেশি জমায়েতের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।