নয়াদিল্লি: উদ্বেগ বাড়িয়ে কেরল, হিমাচল, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু। গতকাল রাজস্থানের বারানে অন্তত ৫০টি পাখির মৃত্যু হয়েছে। গুজরাতের জুনাগড়েও মৃত্যু হয়েছে বহু পাখির। বার্ড ফ্লু উপদ্রুত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কেরলের কোট্টায়াম, আলাপুঝা জেলাকে। মধ্যপ্রদেশের ১০টি জেলায় বহু কাকের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। হিমাচলের কাংড়ায় মৃত্যু হয়েছে ১৭০০ পরিযায়ী পাখির। বার্ড ফ্লু রুখতে ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ডিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।


গত কয়েকদিনে শয়ে শয়ে পাখির মৃত্যু হয়েছে কেরল, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে। বার্ড ফ্লু-কে ‘রাজ্যের বিপর্যয়’ ঘোষণা করে কেরলের দুই রাজ্যে সতর্কতা জারি করল বিজয়ন সরকার। হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানেও অসংখ্য পাখির মৃত্যুর খবর মিলেছে। হিমাচলের কাংড়া জেলায় সংক্রমণ এড়াতে মুরগি ও মুরগির ডিম ও মাছ বিক্রির উপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান এবং কেরালায় বিপুল সংখ্যক পাখির মৃত্যুর বিষয়টি লক্ষ্য করে কেন্দ্র মঙ্গলবার রাজ্যগুলিকে "রোগের বিস্তার রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিতে বলেছে"

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের আশায় দেশবাসীর দিন গোনার মাঝেই রাজস্থানে বার্ড ফ্লু-র আতঙ্ক। গত ২৫ ডিসেম্বর ঝালওয়ার জেলাজুড়ে একাধিক মরা কাক উদ্ধার হওয়ায় প্রথমে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়ায় চাঞ্চল্য। পরে পাখিদের পরীক্ষা করে স্থানীয় প্রশাসন বার্ড ফ্লু-র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাজ্যস্থানের প্রাণীসম্পদ বিভাগে মুখ্য সচিব কুঞ্জি লাল মিনা জানিয়েছেন, বার্ড ফ্লু-র কারণেই একাধিক কাকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু ঝালওয়ারই নয় পার্শ্ববর্তী কোটা, যোধপুর জেলাতেও এরকম মরা কাক উদ্ধার হয়েছে।

এদিকে পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর মধ্যে দেশের একাধিক রাজ্যে ব্লাড ফ্লুয়ের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১০০ কাকের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ২৫২টি কাকের মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানে। শুধু মধ্যপ্রদেশ বা রাজস্থানই নয়, গুজরাত, কেরল, হিমাচল প্রদেশেও ব্লাড ফ্লুয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর সঙ্গে ব্লাড-ফ্লুয়ের যোগ আছে কি না তা এখনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সবমিলিয়ে করোনা আবহে বাড়তি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বার্ড ফ্লু।