ঝালওয়ার: করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের আশায় দেশবাসীর দিন গোনার মাঝেই রাজস্থানে বার্ড ফ্লু-র আতঙ্ক। ঝালওয়ার জেলাজুড়ে একাধিক মরা কাক উদ্ধার হওয়ায় প্রথমে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়ায় চাঞ্চল্য। পরে পাখিদের পরীক্ষা করে স্থানীয় প্রশাসন বার্ড ফ্লু-র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাজস্থানের প্রাণীসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কনট্রোল রুম। ঝালওয়ার জেলায় পাঠানো হয়েছে এক প্রতিনিধিদলও। গতকাল ঐতিহ্যবাহী জলমহলের কাছে উদ্ধার হয় ৭টি মরা মরা কাক। যার ফলে সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ২৫২টি কাকের মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানের জেলাটিতে।

রাজ্যস্থানের প্রাণীসম্পদ বিভাগে মুখ্য সচিব কুঞ্জি লাল মিনা জানিয়েছেন, বার্ড ফ্লু-র কারণেই একাধিক কাকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু ঝালওয়ারই নয় পার্শ্ববর্তী কোটা, যোধপুর জেলাতেও এরকম মরা কাক উদ্ধার হয়েছে।

কুঞ্জি মিনা লাল বলেছেন, ‘ভাইরাসটি যথেষ্ট বিপদজ্জনক। বেশ কয়েকটি জেলাজুড়ে তাই প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় স্তরে সমস্ত অফিসার, পোলট্রি ফার্মের মালিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’ রাজ্য স্তরে গোটা বিষয়টির উপর নজরদারির জন্য কনট্রোল রুম জারি করার বিষয়টিও জানান তিনি।

গত ২৫ ডিসেম্বর ঝালওয়ারে প্রথমবারের জন্য বেশ কিছু মরা কাক উদ্ধার হয়। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি পাখি মারা যাওয়ায় তাদের স্যাম্পেল পাঠানো হয় ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিম্যাল ডিজিসেজ (এনআইএইচএসএডি)-এ । যেখানেই ধরা পড়ে বার্ড ফ্লু-র বিষয়টি।

এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র ঝালওয়ার জেলাতেই ১০০ কাক মারা গিয়েছে। বারণে ৭২, কোটায় ৪৭, পালিতে ১৯, যোধপুরে ও জয়পুরে  ৭টি করে কাক মারা গিয়েছে। প্রাণীসম্পদ বিভাগের সচিব আরুশী মালিক বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়, তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। কেন্দ্রে নির্দেশিকা মেনে মৃত পাখিদের মাটির নীচে চাপা দিয়ে দেওয়া চলছে।’

রাজ্যের প্রায় ৭৫ টি জায়গা থেকে মৃত কাকেদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। স্বস্তির খবর, এখনও পর্যন্ত শুধু ঝালওয়ারেই মৃত পাখিদের শরীরেই পাওয়া গিয়েছে বার্ড ফ্লু-র ভাইরাসের উপস্থিতির খোঁজ।