নয়াদিল্লি: করোনায় ভয়াবহ অবস্থা দিল্লির। এখনও পর্যন্ত রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৩। মৃতের সংখ্যা ৪৩। এদের মধ্যে ২৪ জন ষাটোর্ধ্ব। এই পরিস্থিতিতে কোরনাকে তালুবন্দি করতে দেশের প্রাণকেন্দ্রকে ৭৬টি কনটেইনমেন্ট জোনে ভাগ করেছে প্রশাসন। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম এই করোনা সংক্রমিত জায়াগগুলোকে চিহ্নিত করে চলছে টেস্ট ও প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া। অরবিন্দ কেজরিবালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির সরকার ঘোষণা করে, এই ৭৬টি কনটেইনমেন্ট জোনে প্রয়োজনীয় সমস্ত খাবারদাবার, ওষুধ পৌঁছে দেবে প্রশাসন। তার জন্য সরকারের তরফে আলাদা আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খোলা হয়েছে। সেখানেই রকমারি আবদারে কার্যত নাজেহাল পুলিশ প্রশাসন থেকে সরকারি আধিকারিকরা।
চিকেন বিরিয়ানি। মটন। পিৎজা। মিষ্টি এমনকি আবাদার এসেছে গরম গরম সিঙারারও। সংবাদ সংস্থাকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দক্ষিণ দমদমে সরকারিভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকা বাসিন্দার আর্জি, তাকে চিকেন বিরিয়ানি আর মটন এনে দিতে হবে। এসেছে পিৎজা আর গরম সিঙারার আবদারও। পূর্ব ও মধ্য দিল্লিতে প্রশাসনের কাছে মিষ্টি এনে দেওয়ার আবদারও এসেছে। কোয়ারেন্টিনে থাকা বাসিন্দাদের এই আবাদারে স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত প্রশাসন।
সরকারের তরফে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অতি স্পর্শকাতর অঞ্চলে শাকসব্জি, জল, দুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস তারা সরবরাহ করবে। আজগুবি আবদার যেন না মেটানো হয়, সেবিষয়েও অফিসারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।