নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধীকে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গেই ‘ব্যঙ্গ’ করেছে বিজেপি। কিন্তু, এখন সেই কৌশল কাজ করছে না। কারণ, মানুষ কংগ্রেস সহ-সভাপতিকে শাসক শিবিরের ‘যোগ্য প্রতিপক্ষ’ হিসেবে দেখতে শুরু করেছে। এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর।


এক সাক্ষাতকারে, কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, গত কয়েকমাসে প্রেক্ষাপট অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বদলাতে শুরু করেছে। মানুষ এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে ‘সংশয় ও সন্দেহ’ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। মানুষ কংগ্রেসকে বিজেপির যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।


তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ বলেন, অতীতে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গেই রাহুল গাঁধীর ‘ব্যঙ্গ’ করেছে বিজেপি। কিন্তু, সেই কৌশল আর কাজ করছে না। কারণ, রাহুল গাঁধী বিজেপির যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছেন। প্রেক্ষাপট যত বদলাবে, ততই কংগ্রেসের গতি বৃদ্ধি পাবে।


তারুরের জানান, পঞ্জাবের গুরদাসপুরের উপ-নির্বাচনে কংগ্রেসের এবং কেরলের বেঙ্গারায় তাদের শরিকের বিপুল জয় এটাই প্রমাণ করছে যে, বদল আসছে। তাঁর দাবি, কেরল ও গুজরাতে বিজেপির যাত্রা মুখ থুবড়ে পড়েছে।


৬১-বছরের সাংসদ বলেন, মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, কবে মোদী সরকার তার প্রতিশ্রুতি পালন করবে। তিনি যোগ করেন, ২০১৪ সালে কংগ্রেসের ওপর মানুষের যা আস্থা ছিল, বর্তমানে তা অনেকটাই বেড়েছে। এতে কোনও সন্দেহ নেই।


কংগ্রেস সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই দলের রাশ নিজের হাতে নিতে চলেছেন রাহুল গাঁধী। এই বিষয়টিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে তারুর জানান, যেদিন রাহুল কংগ্রেস সভাপতি হবেন, সেদিন দলে নতুন শক্তি ও উদ্দীপনা চলে আসবে।


২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেশবাসী কংগ্রেসের উত্থান দেখবে কি না, এখনই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি জানিয়ে প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী এক বছরে চিত্রটা অনেকটা পরিষ্কার হবে।