মুম্বই: ২০১৯ সালে সংসদে বিজেপি ও কংগ্রেসের সংখ্যায় বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। এমনটাই জানাল শিবসেনা। কেন্দ্রের অন্যতম শরিক দলের আরও দাবি, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার উপনির্বাচনের ফলাফলে বিরোধীদের মনোবল অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।


এদিন দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’-তে শিবসেনা লিখেছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ‘ভাবমূর্তির’ সঙ্গে লড়াই করতে হবে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে। যদিও, একইসঙ্গে, শিবসেনা জানিয়ে দেয়, শাসক দলের মোকাবিলা করার জন্য বিরোধীদের কোনও শক্তিশালী নেতৃত্ব নেই।


সামনার সম্পাদকীয়তে শিবনেসা জানিয়েছে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর গ্রহণযোগ্যতা প্রতিদিন বাড়ছে। কিন্তু ওই নেতা রাহুল গাঁধী নন। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।


২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে, বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। গতকাল উত্তরপ্রদেশের দুটি এবং বিহারের একটি লোকসভা উপ-নির্বাচনে ফল ঘোষণা হয়। তিনটি আসনেই হেরেছে গেরুয়া-শিবির। এর মধ্যে, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীর আসন।


এই ফলাফলকে হাতিয়ার করে সম্পাদকীয়তে বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়েনি শিবসেনা। তারা বলেছে, এই জয় বিরোধীদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে। এর থেকেই পরিষ্কার, মানুষ এখন তাঁদের ‘মায়াজালের দুনিয়া’ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মানুষ উপলব্ধি করছে, তাঁদের প্রতারিত করা হয়েছে।


তবে, একইসঙ্গে শিবসেনা এ-ও জানিয়েছে, মানুষের মনে এই অস্থিরতার আগুনকে জ্বালিয়ে রাখতে বিরোধীদের এই মুহূর্তে শক্তিশালী নেতৃত্ব নেই। তবে, শিবসেনার দাবি, ২০১৯ সালে সংসদীয় শক্তির বিচারে বিজেপি ও কংগ্রেসের পরিস্থিতি এখনকার থেকে ভিন্ন হবে।


সামনায় বলা হয়, এখন লোকসভায় মোদী-শাহর দলের শক্তি ২৮০। সেখানে কংগ্রেসের সংখ্যা ৫০ নয়। এমনকী, অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে যোগ করলেও, তা ১৫০-র ওপর যাচ্ছে না। ২০১৪ সালে এই পরিস্থিতি ছিল। তবে, ২০১৯ সালে তা বদলে যাবে।


শিবসেনা বলেছে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর ভাবমূর্তি হয়ত ক্রমবর্ধমান। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদী যে বড় স্ক্রিনের হিরোর মতো নিজের ভাবমূর্তি তৈরি করে রেখেছেন, তার মোকাবিলা করতে হবে রাহুলকে।