আমদাবাদ: পাতিদার সংরক্ষণের ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের। সু্প্রিম কোর্টের সংরক্ষণ সংক্রান্ত সাতটি রায়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি অভিযোগ করেন, পাতিদারদের সংরক্ষণের প্রশ্নে বিভ্রান্ত করছে কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া ৫০ শতাংশ ঊর্ধ্বসীমার বাইরে গিয়ে কীভাবে পাতিদারদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে, কংগ্রেস জানাক, দাবি জানিয়েছেন তিনি।
প্রসাদ বলেন, কংগ্রেস পাতিদারদের সংরক্ষণ দেবে বলছে। রাজনৈতিক সুবিধাবাদের চরম নির্দশন এটা। কংগ্রেস বলুক, কোন পথে সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সীমারেখা পেরবে। এটা কি পাতিদারদের ধুলো দেওয়া, প্রতারণা নয়? গুজরাতে ভোট পাওয়ার জন্য এটা করা হলে বন্ধ হওয়া উচিত। ১৯৯২ সালের ঐতিহাসিক নির্দেশ সমেত সংরক্ষণের ব্যাপারে আদালতের সাতটি ভিন্ন রায় আছে, যাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সংরক্ষণে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা পেরনো যাবে না। সর্বোচ্চ আদালত এও জানিয়ে দিয়েছে যে, সংবিধানের নবম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হলেই সংরক্ষণ সংক্রান্ত কোনও রায় আইনি রিভিউয়ের ঊর্ধ্বে নয়।
গত সপ্তাহেই গুজরাতের পাতিদার নেতা হার্দিক পটেল গুজরাত ভোটে কংগ্রেসকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে জানান, ক্ষমতায় এলে ওরা সংবিধানের ৩১ (সি) অনুচ্ছেদের আওতায় সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হার্দিক জানান, পাতিদারদের জন্য কংগ্রেসের সংরক্ষণের ফর্মূলা হবে চলতি ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের বাইরে। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা স্রেফ সুপারিশ, রাজ্য সরকার চাইলে তা না-ও মানতে পারে বলে দাবি করেন হার্দিক।
কিন্তু প্রসাদের বক্তব্য, সংবিধানের ৩১ (সি) অনুচ্ছেদ কার্যকর হয়েছিল ১৯৭১ সালে, কিন্তু সংরক্ষণ বিষয়ক যাবতীয় রায় ঘোষণা হয়েছিল তার পরই। রায়গুলি দেওয়ার সময় নিশ্চয়ই ওই অনুচ্ছেদের সব দিক খতিয়ে দেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর কংগ্রেস এখন ৩১ (সি) অনুচ্ছেদে সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কংগ্রেসকে আবেদন করছি, পাতিদারদের ভোট পাওয়ার জন্য ওদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না।