নয়াদিল্লি: জরুরি অবস্থার ৪৩ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে জরুরি অবস্থাকে সাংবিধানিক নীতির ওপর সরাসরি আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন, সেখানেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর তুলনা করেন হিটলারের সঙ্গে।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানান, রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য গণতন্ত্রর হত্যা করেছে কংগ্রেস। তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতায় টিকে থাকতে কংগ্রেস দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। একসঙ্গে, সুপ্রিম কোর্টকে নীরব দর্শক, সংসদকে গৌণ এবং সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এটা ছিল ভারতীয় গণতন্ত্রের কালা দিবস।
https://twitter.com/AmitShah/status/1011088229704101889
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থা হল ভারতীয় গণতন্ত্রের বৃহত্তম কালো দাগ। তাঁর দাবি, সেই সময় দেশবাসীর ওপর কত অত্যাচার চলেছিল, দেশের নতুন প্রজন্মকে সেই বিষয়ে অবগত করতে পাঠ্যক্রমে অবশ্যই এই অধ্যায়কে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
https://twitter.com/naqvimukhtar/status/1011119992757051393
এখানেই থেমে থাকেননি জেটলি। ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে জার্মান স্বৈরতান্ত্রিক অ্যাডল্ফ হিটলারের তুলনা টেনে আনেন। বলেন, দুজনই গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্রে পরিণত করেছিলেন। তাঁর দাবি, সম্ভবত, হিটলারের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই ইন্দিরা গাঁধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। তিনি যোগ করেন, হিটলার যা করেননি, তাও করেছেন ইন্দিরা। দেশে পরিবারতন্ত্রকে স্থাপন করেছিলেন।
https://twitter.com/arunjaitley/status/1010779729740300288
https://twitter.com/arunjaitley/status/1011136193633968129
জেটলির সেই পোস্টকে হাতিয়ার করে টুইটারে মোদী লেখেন, জেটলি জরুরি অবস্থার কালো দিনগুলির কথা লিখেছেন। বলেছেন, কীভাবে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছিল। কীভাবে জরুরি অবস্থার মাধ্যমে সাংবিধানিক নীতির ওপর হামলা করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ইন্দিরা গাঁধী।
https://twitter.com/narendramodi/status/1011209508528447488