আগরতলা: পাল্টে গেল ত্রিপুরা। এবার আর সরকার গড়া হল না মানিক সরকারের। উত্তর পূর্বের এই ছোট্ট পাহড়ি রাজ্যে হোলির পরের দিনও গেরুয়া রঙের হোলি।
বাঙালি প্রধান রাজ্য ত্রিপুরায়, ২৫ বছরের সিপিএম দূর্গ ধসিয়ে দিল বিজেপি ও আদিবাসীদের দল ইন্ডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা জোটপেল ৪৩টি আসন। এরমধ্যে বিজেপি একাই জিতেছে ৩৫টি আসনে। শরিক আইপিএফটি জয়ী ৮টি আসনে। সিপিএম ৫০ থেকে পুরোপুরি নিচে নেমে গিয়ে মাত্র ১৬।
২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জোট একটিও আসন পায়নি। ভোট পেয়েছিল ১.৫ শতাংশ। পরের বছর লোকসভা নির্বাচনেও ত্রিপুরায় খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি। সেবার ভোট পেয়েছিল ৫.৮ শতাংশ ভোট। আর এবার জিরো থেকে হিরো। বিজেপি জোটের আসন ৪৩। ভোটপ্রাপ্তি প্রায় ৫০.৫ শতাংশ। গত লোকসভা ভোটের তুলনায় বিজেপি জোটের ভোট বাড়ল ৪৪.৭ শতাংশ।
উল্টোদিকে সিপিএমের গ্রাফ এবার তলানিতে। ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটে বামেরা পেয়েছিল ৬০-এর মধ্যে ৫০টি আসন। সিপিএম সেবার ভোট পেয়েছিল ৪৮.১ শতাংশ। ২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনে ষাটটি আসনেই এগিয়েছিল সিপিএম। ভোট পায় ৬৪.৮ শতাংশ। সেখান থেকে এবার সিপিএম জিতল ১৬টি আসনে। বামেদের ভোটপ্রাপ্তি প্রায় ৪৫ শতাংশ। এর মধ্যে সিপিএম প্রায় ৪৩ শতাংশ। অর্থাৎ‍ গত লোকসভা ভোটের নিরিখে সিপিএমের ভোট কমল প্রায় ২১.৮ শতাংশ।
গত আড়াই দশক ধরে যে কংগ্রেস ত্রিপুরায় বিরোধী দল, তারা এবার খাতাই খুলতে পারেনি। গতবার কংগ্রেস পেয়েছিল ১০টি আসন। এবার শূন্য হাত। ত্রিপুরায় এবার প্রচারে কোমর বেঁধে নেমেছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। এই জয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। টুইটারে লিখেছেন, ২০১৮’র ত্রিপুরার ভোটে নতুন যুগের সূচনা হল। ত্রিপুরায় আমার ভাই-বোনেরা যা করেছেন তা অসাধারণ। ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। নতুন ত্রিপুরা গড়তে চেষ্টার কোনও ত্রুটি থাকবে না। ত্রিপুরায় বিজেপির জয় সাধারণ নির্বাচনী জয় নয়। এটা শূন্য থেকে শিখরে ওঠা। উন্নয়ন ইস্যুতে জোর এবং সাংগঠনিক শক্তির জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।
বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ত্রিপুরায় আমাদের জয় ঐতিহাসিক। ত্রিপুরায় হেরে যাওয়ার পর সিপিএমের হাতে থাকল একমাত্র কেরল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে অঢেল টাকা ঢালার অভিযোগ করছেন ইয়েচুরি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি অর্থের জোরে জিতেছে।
ত্রিপুরায় ২টি লোকসভা আসন। ২০১৪ সালে প্রবল মোদী হাওয়াতে দুটিতেই জেতে সিপিএম। কিন্তু, এবারের বিধানসভা ভোটে সব ওলটপালট করে দিল বিজেপি।


#ত্রিপুরার লাল দুর্গে গেরুয়া ঝড়।মোদী ম্যাজিকে মানিক মাত।আড়াই দশক পরে ত্রিপুরার বাম দুর্গ ধূলিস্যাত।ত্রিপুরায় সরকার গঠনের পথে বিজেপি।ত্রিপুরায় ৪০ টি আসনে এগিয়ে বিজেপি।ত্রিপুরায় ১৯ টি আসনে এগিয়ে বামেরা।এখনও পর্যন্ত বিজেপি জোটের প্রাপ্ত ভোট ৫০%।
এখনও পর্যন্ত সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ৪৫%।


# ৪৩ আসনে এগিয়ে বিজেপি। ১৬ আসনে এগিয়ে বাম।


আগামী ১ ঘন্টার মধ্যেই সিপিএমের ত্রিপুরা দূর্গ ধসে পড়বে। ট্যুইট বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর। ২৫ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরার পালাবদল হচ্ছে বিজেপির হাত ধরে, প্রায় নিশ্চিত এখন।


 





# প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি।


#ত্রিপুরার লাল দুর্গে গেরুয়া ঝড়।ত্রিপুরায় ৩৯ টি আসনে এগিয়ে বিজেপি।ত্রিপুরায় ২০ টি আসনে এগিয়ে বামেরা।


# ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসন অবসানের পথে। ৩৬ আসনে এগিয়ে সরকার গঠনের জন্য সংখ্যারগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে গৈরিক দল। অন্যদিকে, মাত্র ২৩ আসনে এগিয়ে বাম।খাতাই খুলতে পারেনি কংগ্রেস।


# পিছিয়ে পড়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।


#ত্রিপুরায় বিজেপি ব্যবধান বাড়িয়ে নিল। বিজেপি জোট এগিয়ে রয়েছে ৩৫ আসনে। বামেরা ২৪ আসনে।


# নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ভোট গণনার প্রবণতা অনুযায়ী ত্রিপুরায় বিজেপি এগিয়ে। বিজেপি এগিয়ে ২৪ আসনে, বামেরা ১৬ টিতে।


# বিজেপি ফের ত্রিপুরায় এগিয়ে গেল। বিজেপি এগিয়ে ৩২ আসনে। বামেরা এগিয়ে ২৭ আসনে।


# ত্রিপুরায় ৩১ আসনে এগিয়ে বাম। বিজেপি এগিয়ে ২৮ আসনে।


# বামেরা ২৮ আসনে এগিয়ে। বিজেপি ২৮আসনে এগিয়ে। অন্যান্য ১ আসনে এগিয়ে।


#উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের এই ফলাফল দেশ ও বিজেপির পক্ষে ভালো। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গড়বে। বললেন বিজেপি নেতা রাম মাধব।


# ত্রিপুরায় বামেরা এগিয়ে ২৭ আসনে, বিজেপি ২৫, কংগ্রেস ২ আসনে এগিয়ে।


#ত্রিপুরায় বাম ও বিজেপির জোর টক্কর। বাম এগিয়ে ২৫ আসনে , বিজেপি এগিয়ে ২৩ আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে একটি আসনে।


# বিজেপি এগিয়ে ২১ আসনে। বাম ১৭ এবং কংগ্রেস ২ আসনে এগিয়ে।


#বিজেপি এগিয়ে ২৩ আসনে, বাম এগিয়ে ১৪ আসনে এবং কংগ্রেস এগিয়ে ২ আসনে।


# ভোট গণনার প্রাথমিক প্রবণতা অনুযায়ী বামেদের পিছনে ফেলল বিজেপি। বিজেপি  এগিয়ে ২৩ আসনে, বাম এগিয়ে ১৫ আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে ১ আসনে


# ত্রিপুরায় বাম এগিয়ে ১৬ আসনে। বিজেপি ৯  এবং কংগ্রেস এগিয়ে ১ আসনে।


ত্রিপুরায় বাম ১১, বিজেপি ৮ ও কংগ্রেস ১ আসনে এগিয়ে।


# কংগ্রেস এগিয়ে একটি আসনে।


#বাম এগিয়ে ১০ আসনে, বিজেপি এগিয়ে ৯ আসনে।


# ত্রিপুরায় ১০ আসনে এগিয়ে বিজেপি, বাম এগিয়ে নয় আসনে। আগরতলায় এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন।


#ভোট গণনার প্রাথমিক প্রবণতায় ত্রিপুরায় বাম ও বিজেপির হাড্ডাহাড়ি লড়াই। বাম ৫ ও বিজেপি ৪ আসনে এগিয়ে।


#ত্রিপুরায় একটি আসনের প্রবণতা সামনে এল। এগিয়ে সিপিএম। পশ্চিম ত্রিপুরার ধনপুর আসনে এগিয়ে সিপিএম প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনটি আসনে এগিয়ে বিজেপি


ত্রিপুরায় লালদুর্গ দখলে রাখতে পারবেন মানিক সরকার? নাকি ফুটবে পদ্ম? আজই মিলবে প্রশ্নের উত্তর। সকাল ৮টা থেকে শুরু ভোটগণনা। ত্রিপুরা বিধানসভায় মোট ৬০টি আসন। ৫৭টি আসনে প্রার্থী দেয় সিপিএম। একটি করে আসনে লড়ে ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই এবং আরএসপি। চরিলাম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুর জেরে ভোটগ্রহণ হয়েছে ৫৯টি আসনে। অন্যদিকে, ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা বা আইপিএফটি -এর সঙ্গে জোট বেঁধে ৫১টি আসনে প্রার্থী দেয় বিজেপি। ৯টি আসনে প্রার্থী দেয় আইপিএফটি। কংগ্রেস প্রার্থী দেয় ৫৯টি আসনে। বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় ভোট পড়েছে ৯১ শতাংশ।