রাঁচি:  রামগড়ে ব্যবসায়ী আলিমুদ্দিন আনসারিকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় এক স্থানীয় বিজেপি নেতা সহ ২ জনকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। শনিবার রামগড়ের বিজেপি মিডিয়া সেলের নিত্যানন্দ মাহাতো এবং ছোটু রানাকে গ্রেফতার করা হয়। এই গণপিটুনির ঘটনার ভিডিওতে ছোটু রানাকে নিহতকে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। ছোটু রানা গোরক্ষা সমিতির সদস্য বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ দাবি করেছেন যে, প্রশাসন পৌঁছনোর পর কী ঘটেছে তা জানতে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।  মিডিয়া সেলে নিত্যানন্দের সহকর্মী বরুণ সিংহও দাবি করেছেন, নিত্যানন্দ গণপিটুনির ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বরুণ বলেছেন, যেখানে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছিল, সেই বাজার টাঁড় এলাকাতেই নিত্যানন্দর বাড়ি। ভিডিওতেও নিত্যানন্দকে ডিএসপি-র পিছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছনোর পর নিত্যানন্দ সেখানে যান। বরুণ বলেছেন, এরপরও নিত্যানন্দকে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দুই ব্যক্তি গ্রেফতারের পর বিজেপির জেলা সভাপতি শিবশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে গণপিটুনির ঘটনার নিন্দা করেন। একইসঙ্গে নিরীহদের হেনস্থা না করার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গোমাংস নিয়ে যাওয়ার সন্দেহে আনসারির গাড়ি আটকায় দুষ্কৃতীরা। এরপর প্রায় ১০ জন মিলে আনসারিকে বেধড়ক মারধর করে। আনসারির মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ সন্তোষ সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল।