হায়দরাবাদ: লকডাউনে আটকে পড়েছে ছেলে। গাড়িঘোড়া না চলায় বাড়ি ফেরার সম্ভবানাও ক্রমশঃ ক্ষীণ হচ্ছিল। এদিকে চিন্তায় ঘুম নেই মায়ের। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে হায়দরাবাদের রেহমতাবাদে কীভাবে ফিরবে ছেলে? কোনও উপায় না পেয়ে শেষে স্কুটি নিয়েই বেরিয়ে পড়লেন রাজিয়া বেগম। ৭০০ কিলোমিটার স্কুটি চালিয়ে ছেলের কাছে গেলেন এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ছেলে মহম্মদ নিজামুদ্দিনকে ‘উদ্ধার’ করে আরও ৭০০ কিলোমিটার স্কুটি চালিয়েই ফিরলেন। এই ১৪০০ কিলোমিটার পথ যাওয়া ও ফেরায় তাঁর সময় লাগল ৩ দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজিয়া বেগমের এই ‘সাহসিকতার’ প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন অনেকেই। দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমও এই ঘটনা কভার করেছে। কিন্তু বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের দাবি, রাজিয়া বেগম লকডাউন ভেঙেছেন। তাঁর এই কাজ অন্য অভিভাবকদের লকডাউন ভাঙতে উৎসাহিত করবে, তাই কোনওভাবেই একে ‘গৌরবান্বিত’ করা উচিত নয়।
ট্যুইটারে সম্বিত লিখেছেন, “নিজের সন্তানের ভালোর জন্য কোনও মা অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারেন। কিন্তু ওনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ১৪০০ কিলোমিটার স্কুটি চালানোকে কোনওভাবেই গৌরবান্বিত করতে পারছি না। কারণ, এই ঘটনা হয়ত অন্য আরও অনেক অভিভাবককে লকডাউন ভাঙায় উৎসাহিত করবে।”