গতকাল নিজের ফেসবুক পোস্টে মারাক ঘোষণা করেন, মোদী সরকারের তিন বছর পূর্তি উদযাপনে গারো পাহাড়ে বিফ পার্টির আয়োজন করবে বিজেপি। স্থানীয় মানুষের প্রিয়, চাল থেকে তৈরি মদও থাকবে। কিন্তু তাঁর গোমাংস খাওয়ার পার্টির ঘোষণায় শোরগোল পড়ে যায়।
ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি মুখপাত্র নলিন কোহলি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তি দেওয়াই হয়েছে প্রাণীহত্যা বন্ধ করার জন্য। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকারের বর্ষপূর্তি উদযাপনের কারণে কী করে পশুহত্যা চলতে পারে! দল মারাককে বরখাস্ত করবে অথবা ইস্তফা দিতে বলবে।
বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁকে পদত্যাগ করতেই বলা হয়। যদিও মারাকের দাবি, গারো জনগণের ভাবাবেগ মাথায় রেখে গোমাংস ইস্যুতে দলের অবস্থানের প্রতিবাদেই আমি ইস্তফা দিয়েছি। আমি আগে খ্রিস্টান এবং গারো। গারো পাহাড়ে পার্টির অবস্থানে স্থানীয় মানুষের স্বার্থরক্ষা হবে না।
এককালের একটি সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনের এই সদস্য কিছুদিন আগেই সোস্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন, ২০১৮-য় মেঘালয়ে বিজেপি ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে গোমাংস সস্তা হবে। সেই মন্তব্যও বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল।
রাজ্য বিজেপি মারাকের মন্তব্যের বিরোধিতা করলেও দলের রাজ্য সভাপতি শিবুন লিংডো বলেন, দল গোমাংস খাওয়ার বিরোধী নয়। কেননা মেঘালয়ের মতো যে রাজ্যে দেশের মধ্যে গোমাংস খাওয়া হয় সবচেয়ে বেশি, সেখানে রাজ্যবাসীর পছন্দের উল্টো পথে হেঁটে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো যাবে না। বরং কসাইখানাগুলিতে যাতে পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, সেজন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ জারি করা যেতে পারে।