নয়াদিল্লি: ভারতে সংখ্যালঘুরা অস্বস্তিতে রয়েছেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে মন্তব্য করায় বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপি নেতারা। শিবসেনাও বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছে।


বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেইন বলেছেন, ‘মুসলিমদের জন্য ভারতের চেয়ে ভাল কোনও দেশ নেই। হিন্দুদের চেয়ে ভাল বন্ধুও তাঁরা পাবেন না।’ বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষি লেখি বলেছেন, ‘এখন হামিদ আনসারি মুসলিমদের নেতা হতে চাইছেন। উপরাষ্ট্রপতি থাকার সময় তিনি কখনও নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেননি। আমার মনে হত তিনি সুশিক্ষিত ব্যক্তি এবং যথেষ্ট ওয়াকিবহাল আমলা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তিনি তথ্য ও প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে খবর রাখেন না। তাঁর মন্তব্য স্পষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে।’

কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেছেন, ‘এরকম উঁচু পদে বসে থেকেও কেউ যদি এই ধরনের মন্তব্য করেন, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি যা বলেছেন, তার সঙ্গে আমি একমত নই। আমি অত্যন্ত হতাশ। তিনি কেন এই মন্তব্য করলেন সেটাই ভাবছি। কয়েকটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশকেই সেইরকম বলা যায় না। এটা নেতিবাচক মানসিকতা।’

উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ বলেছেন, ‘উপরাষ্ট্রপতির এরকম অবিবেচক মন্তব্য মেনে নেওয়া কঠিন। ১০ বছর তিনি সাংবিধানিক পদে ছিলেন। তখন এরকম কিছু বলেননি। হঠাৎ তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। মোদীজি, যোগীজি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেনি। আমার মনে হয় হামিদ আনসারি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে চলেছেন।’

শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ‘আমি হামিদ আনসারির সঙ্গে একমত নই। তাঁর এই মন্তব্য মেনে নিতে পারছি না। উপরাষ্ট্রপতি পদে তাঁর মেয়াদ ভাল ও ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। এই পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় এই ধরনের মন্তব্য ভাল হল না। বিশেষ করে মুসলিমদের জন্য এটা ভাল নয়। দেশে শুধু মুসলিমদের উপর হামলা হয়নি। তিন বছর আগে তিনি কেন এই ধরনের মন্তব্য করেননি?’

প্রাক্তন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কে রেহমান খান অবশ্য আনসারির সঙ্গে একমত। তিনি বলেছেন, ‘হামিদ আনসারি যেটা বলেছেন, সেটা বাস্তব ঘটনা। সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নন। তাঁরা সঙ্ঘ পরিবারের কাছ থেকে জাতীয়তাবাদের শংসাপত্র নিতে বাধ্য হচ্ছেন। দেশ-বিরোধী ও পাকিস্তানি শুনতে শুনতে তাঁদের দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’