আমদাবাদ: ফলটার নাম ‘ড্রাগন’। কিন্তু তার নাম বদলাচ্ছে। গুজরাতে তো বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েই গিয়েছে। নাম বদলে হচ্ছে ‘কমলম’। সৌজন্যে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আম, জাম, কলা, কাঁঠাল, লিচু, কমলালেবু, আপেলের মতো আমাদের সকলের চেনা ফলের তালিকায় না থাকা ড্রাগন এখন সংবাদ শিরোনামে। রুপানির অবশ্য দাবি, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। কিন্তু ড্রাগনের নয়া নামকরণের উদ্যোগের পিছনে অন্য অভিসন্ধি দেখছে বিরোধীরা।
রুপানির ব্যাখ্যা, ফলের ড্রাগন নামটা ঠিক নয়, এমন নামের জন্য অনেকের চিনের কথা মনে হতে পারে। তাই আমরা কমলম নাম দিয়েছি। কৃষকরা বলেন, ফলটাকে দেখতে পদ্মের মতো। সেজন্যই কমলম নাম দিয়েছি।
গুজরাতে চাষিরা ড্রাগন ফলান কচ্ছ, নভসারি, সৌরাষ্ট্রের নানা জায়গায়।
ঘটনাচক্রে কমল বা পদ্ম বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক। ‘কমলম’ পদ্মেরই সংস্কৃত নাম। বিজেপির গুজরাতের দলীয় দপ্তরের নামও ‘কমলম’।
বিরোধীরা তো বটেই, রুপানির সিদ্ধান্তে সোস্যাল মিডিয়ায়ও ঘোরাফেরা করছে নানা ধরনের মজাদার মিম।
কংগ্রেস এমপি শশী তারুর কটাক্ষ করেছেন, বিজেপি বরং ন্যাশনাল রিনেমিং কাউন্সিল বা জাতীয় নয়া নামকরণ পর্ষদ তৈরি করুক। বুধবার তিনি ট্যুইটে লেখেন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী কি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্রূপ করছেন না তাঁর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন? আমার প্রস্তাব, বিজেপি সরকার বরং এই মুখ্যমন্ত্রীদের কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে ন্যাশনাল রিনেমিং কাউন্সিল গঠন করুক, ওঁদের রাজ্যগুলিকে অপশাসন থেকে রক্ষা করুক। সেটাই সবচেয়ে ভাল হবে। কেননা দেখছি, ওরা ওই কাজেই দক্ষ। অতীতে কেন্দ্রের ও উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের একাধিক ইতিহাসের স্মৃতি-বিজড়িত স্থানের নাম বদলের চেষ্টার কথাই বোঝাতে চেয়েছেন তারুর।
কংগ্রেস এমপি কার্তি চিদম্বরমের কটাক্ষ, ড্রাগন কাটা পড়ল! মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের শরিক শারদ পওয়ারের এনসিপি-র প্রধান মুখপাত্র মহেশ তাপাসে বলেছেন, সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়, যখন বিজেপি সারা দেশকেই কমলাস্তান বলবে। এবার দেখছি বিজেপি ফলের গায়েও নিজেদের ছাপ মেরে প্রচার চাইছে।
সোস্যাল মিডিয়ায়ও ‘কমলম’ শব্দটা ভাইরাল হয়েছে। তারও একটা কারণ অবশ্যই আছে। আজই প্রথম মহিলা, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন ও প্রথম এশিয় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন।